প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত-এর একটি অংশ। গীতা একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ তথা একটি পৃথক শাস্ত্র এর মর্যাদা পেয়ে থাকে। হিন্দুরা গীতা-কে ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী মনে করেন।
গীতা-র কথক কৃষ্ণ হিন্দুদের দৃষ্টিতে ঈশ্বরের অবতার পরমাত্মা স্বয়ং। তাই গীতা-য় তাকে বলা হয়েছে “শ্রীভগবান”। গীতা-কে গীতোপনিষদ বলা হয়।
ভগবদ্গীতার রচনাকাল সম্বন্ধে অনেক রকম মতামত রয়েছে। ঐতিহাসিকেরা এই গ্রন্থের রচনাকাল হিসেবে খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত যে কোন সময়ের মধ্যে হতে পারে বলে অনুমান করেছেন।
গীতা-কে গীতোপনিষদ বলা হয়। অর্থাৎ, গীতা উপনিষদ্ বা বৈদান্তিক সাহিত্যের অন্তর্গত। "উপনিষদ্" নামধারী ধর্মগ্রন্থগুলি শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত হলেও, মহাভারত-এর অংশ বলে গীতা স্মৃতিশাস্ত্রের অন্তর্গত।
সাবিত্রী: তিনি এতটাই সতী ছিল যে,সে তার মৃত স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিল। তাই এখানে সাবিত্রীর কথা বলা হয়েছে।সত্ত্বা: সত্ত্বা বলতে আমাদের আত্মার কথা বলা হয়েছে, আত্মা যেমন অমর গীতা ও তেমনি অমর।
সীতা: ভগবান রামের স্ত্রী,মাতা সীতা এতটাই পবিত্র ছিল যে, রাবণ শত চেষ্টার পরেও তার নষ্ট করতে পারেনি, তাই সীতা নাম মহা পবিত্র বলা হয়।
ব্রহ্মাবলী: ব্রহ্মশক্তি থেকে নির্গত শক্তি কে বলা হয় ব্রহ্মাবলী। যে শক্তির বিনাশ নেই।
পতিব্রতা: পতিব্রতা বলতে ভগবানের প্রতি আনুগত্য থাকা, কারণ – একমাত্র ভগবান সকলের পতি আর আমরা সকলেই তাঁর পত্নী।
ব্রহ্মবিদ্যা : ব্রহ্মবিদ্যাকে আমরা ব্রহ্মাবলীর অনুরূপ বলতে পারি।
ত্রিসন্ধ্যা : ত্রিসন্ধ্যা মানে হলো তিন কালের সমষ্টি, যথা ইহকাল, বর্তমান কাল ও পরকাল।মুক্তিগেহিনী: একমাত্র গীতা পাঠ করলেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, তাই এ নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
অর্ধম্ত্রা: গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন গীতার অর্ধক তাই এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
পরনন্দা: অপরের দোষ না দেখে তার ভালো দিক দেখার মধ্যে যে আনন্দ,গীতায় তার কথাই বলা হয়েছে।