বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কার্তিকমাসের শেষ দিনে মানে কার্তিক সংক্রান্তির দিনে পশ্চিবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ধুমধাম করে কার্তিক পুজো করা হয়।
পুরাণ মতে, কার্তিক হল দেবসেনাপতি। যুদ্ধের দেবতাও বলা হয়। মহাদেব শিব ও দেবী পার্বতীর সন্তান হলেন কার্তিক। প্রাচীন ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রাচীন দেবতা হিসেবে পূজিত হন তিনি।
কার্তিকেয়র পুজোয় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতে। মরুগান, সুব্রাহ্মণ্যয়ম নামেই পরিচিত তিনি। রয়েছে কার্তিকের প্রচুর মন্দিরও।
পুরাণের তথ্য অনুসারে, ব্রহ্মার বরে মহাবলী তারকাসুরকে বধ করার জন্যই কার্তিকের আর্বিভাব হয়েছিল। তারকাসুরকে বধ করার জন্যই কার্তিকের জন্মগ্রহণ হয়েছিল।
কার্তিকের অপর নাম ষড়ানন। কারণ কার্তিকের মাথা একটি নয়, ছয়টি। কার্তিক পুজোর গুরুত্বের সঙ্গে বাংলা আবার অন্য লোকাচারও রয়েছে।
মনে করা হয়, নববিবাহিত বা নিঃসন্তান দম্পতিরা যদি কার্তিক পুজো করেন তাহলে তাদের কোলে ফুটফুটে কার্তিকের মতন পুত্রসন্তানের জন্ম নেবে।
তাই মজার ছলে তো বটেই , পরিচিতরা কার্তিক পুজোর আগে নববিবাহিতদের বাড়িতে ঠাকুর ফেলে চলে যায়। তবে সবটাই সন্তানপ্রাপ্তির জন নয়।
কথিত আছে, ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর পুত্রীদের বিয়ে করেন কার্তিক । ব্রহ্মা ও সাবেত্রীর মেয়ে হলেন দেবী ষষ্ঠী। পুরাণ অনুযায়ী, কার্তিকের স্ত্রী হলেন দেবী ষষ্ঠী। তিনি জন্মসূত্রের দেবী।
সন্তানদের রক্ষা করা ও আগলে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। সেই কারণেই সন্তানলাভের আশায় কার্তিক পুজো করা হয়।