কথিত আছে, শ্রাবণ মাসেই ঘটেছিল সমুদ্র মন্থন। আর মন্থনের সময় সমুদ্র থেকে উঠেছিল এক তীব্র বিষ। বিষের প্রভাবে সৃষ্টি ধ্বংস হওয়ার পরিস্থিতি হয়েছিল।
মহাদেব তাঁর কণ্ঠে তীব্র হলাহল ধারণ করেন। দেবী পার্বতী সেই বিষের জ্বালা প্রশমনের চেষ্টা করেছিলেন। সেই কথা স্মরণ করে শিবভক্তেরা শ্রাবণ মাস ভর মহাদেবের পূজা করেন।
মহাদেবের পুজোর সময় কেতকী ফুল ও হলুদ ব্যবহার করবেন না। তবে বেল পাতা, চন্দন, ধুতুরা, ভাং, গোরুর কাঁচা দুধ দিয়ে করতে হবে দেবাধিদেবের পূজা। ভক্তি ভরে করতে হবে আরতি।
শাস্ত্রজ্ঞরা মতে, পেঁয়াজ, রসুন ও অন্যান্য মশলা সেবন শ্রাবণ মাসে এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া সর্ষের তেল, মুসুর ডাল, বেগুন, তিলের তেল খাওয়া যাবে না।
শ্রাবণ মাসে প্রতি সোমবার উপবাস রাখার সময় খেতে পারেন বাদাম, ফল, দুধ, মাখন। মাংস, ডিম, অ্যালকোহল, তামাক সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।
সারাদিনে পর্যাপ্ত মাত্রায় জল ও ফলের রস খেতে পারেন ভক্ত। শ্রাবণ মাস সাধারণ নুনের বদলে খেতে হবে সৈন্ধব লবণ।
সোমবারে উপবাস করলে সন্ধ্যা আরতির আগে কোনওভাবেই ভরপেট বা পূর্ণ আহার করা যাবে না।
উপবাস করার সময়ে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর ফল খাওয়া যেতে পারে। প্যাকেটজাত ফ্রুট জ্যুস পান করবেন না।