রুদ্রাক্ষ ধারণ করছেন? এই নিয়মগুলি মানছেন তো, নইলে বিপদ
credit: google
TV9 Bangla
জীবনে সুখ শান্তি এবং গ্রহের প্রতিকার করতে রুদ্রাক্ষ ধারন করেন অনেকেই। কিন্তু সাবধান সঠিক নিয়ম না জেনে, না মেনে রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে কিন্তু হতে পারে হিতে বিপরীত।
শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য অনেক নিয়ম বিধির উল্লেখ আছে। তা ঠিক ঠিক ভাবে জেনে, মেনে তবেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
শাস্ত্র মতে শুদ্ধ এবং অভিমন্ত্রিত হয়ে তবেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। লগ্ন অনুযায়ী লগ্নপতির নির্দিষ্ট বারে অথবা শুক্ল পক্ষের সোম্বারে রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন।
প্রায় ২১ ধরনের রুদ্রাক্ষ হয়! রুদ্রাক্ষ ধারণ করার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা মন্ত্র। আপনি যে রুদ্রাক্ষ ধারণ করছেন তার ধারণের জন্য যে নির্দিষ্ট মন্ত্র রয়েছে তা উচ্চারণ করুন।
অন্য কোনও ব্যাক্তির ধারণ করা রুদ্রাক্ষ কখনই ধারণ করা উচিত নয়। ভুলেও এই ভুলটি করবেন না। সোনা,রুপা, রেশম বা সুতির সুতোতে বেঁধে রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
অনেকেই একাধিক রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন। সেক্ষেত্রে রুদ্রাক্ষের মধ্যে গাঁট থাকা বাঞ্ছনীয়। রুদ্রাক্ষগুলি যেন একে অপরের সঙ্গে লেগে না থাকে।
রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে, তার পর পেঁয়াজ,রসুন,মরিচ প্রভৃতি না খাওয়াই ভাল। যদি এই নিয়ম রোজ না মানা যায় তাহলে অন্তত প্রতি সোমবার একদম নিরামিষ খাওয়া উচিত।
ব্যক্তি রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে, প্রতি দিন শিবের ধ্যান করলে ভাল। প্রতি সোমবার প্রদোষ কালে শিব মন্দিরে গিয়ে শিবের মাথায় জল ঢাললে রুদ্রাক্ষ ধারণ করার শুভফল পাওয়া যায়।