স্বাস্থ্যের জন্য ছাতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাতু গ্রহণে এই তীব্র গরমে শরীর থাকে ঠাণ্ডা। পাশাপাশি নানা রোগ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
বিহারে ছাতু বেশ জনপ্রিয়। স্বাস্থ্যকর ছাড়াও ছাতুর গুরুত্ব রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রেও। ছাতুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন গ্রহ। রয়েছে গ্রহ-নক্ষত্রের শুভ ও অশুভ প্রভাব ও শক্তি।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ছাতু হল গ্রহদের শুভ্র ও শক্তির প্রতীক। নেগেটিভ শক্তির অবসান ঘটায়। ছাতুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সূর্য, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহও।
গোটা গরমকাল জুড়ে ছাতু গ্রহণ করলে নেগেটিভ শক্তি দূর হয় দ্রুত। এছাড়া মানসিক শান্তিও বজায় থাকে সংসারে।
সূর্যদেব ও ছাতুর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, ছাতু প্রসাদ হিসেবে সূর্যদেবের কাছে নৈবেদ্য হিসেবে নিবেদন করা হয়। তাতে সূর্যের তাপ ও তীব্রতা হ্রাস পায় বলে মনে করা হয়।
গরমকালে ছাতু দান করাও ফলদায়ক। বৈশাখ মাসের মেষ সংক্রান্তির দিন ছাতু দান করাকে শুভ বলে মনে করা হয়। তাতে সূর্যের প্রভাব শক্তিশালী হয়।
এদিন ছাতু দান করা হলে জীবনে উন্নতির সব দরজা খুলে যায়। সাফল্য ও সম্মানও বৃদ্ধি পায় পদে পদে। তাই ছাতুর গুরুত্বের কথা আসবেই।
ছাতুকে বৃহস্পতির প্রতীক বলা হয়। কথিত আছে, ছাতুর গ্রহণ করলে বৃহস্পতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। শিক্ষা ও ব্যবসায় উন্নতির জন্যও শুভ বলা হয়।