কলকাতার 'পলাশ' গেলেই রং খেলেন বৃন্দাবনের শ্রীকৃষ্ণ
TV9 Bangla
Credit - PTI, Canva, FB, Getty Image
সামনেই হোলি। তার আগে অনেকে ভিড় করছেন বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে। সেখানে অবশ্য হোলি খেলা শুরু হয় বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে।
বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে কেমন করে হোলি উৎসব পালন হয়, তা জানতে টিভি নাইন বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল মন্দিরের পুজারী নীতীন সাবারিয়া গোস্বামীর সঙ্গে।
নীতীন সাবারিয়া গোস্বামী জানান, সেখানে বিভিন্ন রকমের হোলি পালন করা হয়। একাদশীর দিন ফুলের হোলি হয়। এ ছাড়া লাড্ডু ও জিলিপি হোলিও হয়।
লাড্ডু হোলি ও জিলিপি হোলির জন্য আলাদা করে লাড্ডু ও জিলিপি বানানো হয়, এবং বাঁকে বিহারী মন্দিরে আগত দর্শনার্থী এবং ভক্তদের মধ্যে তা ভাগ করা হয়।
বাঁকে বিহারী মন্দিরের পুজারী নীতীন সাবারিয়া গোস্বামী এক বিশেষ কথাও জানিয়েছেন। ঠাকুরজীকে যে রং লাগানো হয়, তার সঙ্গে যোগ রয়েছে কলকাতার।
আসলে তিনি জানিয়েছেন, বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরের জন্য কলকাতা থেকে পলাশ ফুল নিয়ে যাওয়া হয়। তা গরম জলে ফোটানো হয়।
নীতীন সাবারিয়া গোস্বামী জানিয়েছেন, বাঁকে বিহারী মন্দিরের পিছনে রান্নাঘর রয়েছে। তার সামনে বড় ফাঁকা জায়গায় বড় কড়াইয়ে জল দিয়ে পলাশ ফুল দেওয়া হয়।
এরপর তা অনেকটা গরম করা হয়। তারপর ওই পলাশ ফুল গুলো ছেঁকে নিয়ে যে রং বের হয়, তা ঠাকুরজীকে দেওয়া হয় ও ভক্তদের মধ্যে হোলি খেলা হয়।
তিনি এও জানিয়েছেন, মন্দিরে বিভিন্ন রকমের হোলি খেলা হয়, তার মধ্যে রয়েছে জলের হোলি। পলাশ ফুলের জল ত্বকের ক্ষতি হয় না। তাই তা ব্যবহার করা হয়।