পাখিদের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিপন্ন পাখিদের রক্ষার লক্ষ্যে প্রতি বছর ৫ জানুয়ারি জাতীয় পাখি দিবস হিসেবে পালিত হয়।
২০০২ সাল থেকে শুরু হয়ে এই বিশেষ দিন। প্রাচীনকাল থেকেই সনাতন ধর্মে পাখির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রে প্রকৃতি, নদী, পাখিকে পবিত্র বলে পুজো করা হয়।
কথিত আছে, আকাশে উড়ন্ত পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে সেদিন পৃথিবী থেকে মানুষও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। হিন্দুধর্মে মানব অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রকৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাগান। কোন দেবদেবীর সঙ্গে কোন পাখির যোগ রয়েছে, তা জানুন
সাধারণত বাড়িতে কাকের আগমনকে অতিথির আগমনের লক্ষণ বলে মনে করা হয়। শ্রাদ্ধের সময় কাককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। কাককে খাওয়ালে পূর্বপুরুষরা তৃপ্ত হন।
পেঁচা হল দেবী লক্ষ্মীর বাহন। সুখ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই পেঁচাকে পুজো করা চল রয়েছে হিন্দুশাস্ত্রে।
হিন্দু ধর্মে পাখিদের মধ্যে ময়ূরের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। পাখির রাজাও বলা হয়। এটি ভগবান শিবের পুত্র কার্তিকেয়ের বাহন। শ্রীকৃষ্ণও সর্বদা তাঁর মুকুটে ময়ূরের পালক পরতেন।
রাজহাঁস হল ঐশ্বরিক আত্মার আশ্রয়দাতা।মৃত্যুর পরে, পুণ্যবান আত্মা কিছু সময়ের জন্য রাজহাঁসের গর্ভে থাকে। তারপর মানব রূপে ফিরে আসে বা স্বর্গযাত্রা করেন।
হিন্দু ধর্মে নীলকান্ত পাখিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে এর দর্শন সৌভাগ্য নিয়ে আসে। দুর্গাপুজোর সময় নীলকণ্ঠ পাখিকে সৌভাগ্যের লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
পায়রা শান্তির প্রতীক। অমরনাথের গুহায় জোড়া পায়রা দেখা যায়। বাস্তুশাস্ত্র মতে, পায়রাকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
তোতা বা টিয়া পাখি হল বুধগ্রহের প্রতীক। পুরাণেও তোতাপাখি নিয়ে নানা কাহিনি রয়েছে। পঞ্চতন্ত্রেও টিয়াপাখির নানা উল্লেখ রয়েছে।