আপনি গর্বিত হিন্দু? কিন্তু জানেন কি, হিন্দু ধর্মে মোট ক'টি পুরাণ রয়েছে?
TV9 Bangla
Credit - Pinterest
পুরাণ হল হিন্দুদের প্রাচীন ধৰ্মীয় সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য উপাদান। নানা ধরণের পুরাণ রয়েছে। পুরাণ শব্দের অর্থ প্রাচীন বা পুরাতন।
হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ আছে "যস্মাৎ পুরাহি আসীৎ ইদং তৎ পুরাণম্" এর। যার অর্থ, যেখানে প্রাচীন কথা বর্ণিত হয়েছে, সেটাই পুরাণ।
পুরাকালের সৃষ্টি, ধর্ম, আচার, ধর্ম, প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনার সংকলনকে সাধারণ ভাষায় বলা হয় পুরাণ। এক কথায় বলা যেতে পারে মহাবিশ্ব ও জীবজগত সম্পর্কীয় সকল বিষয়ই পুরাণের অন্তর্ভুক্ত।
শ্রীগিরীন্দ্রশেখর বসুর পুরাণ প্রবেশ বইতে লেখা রয়েছে, অনেকে মনে করেন পুরাণ আধুনিক। এই ধারণা ভ্রমাত্মক। পুরণ চতুর্দশ বিদ্যার অন্তর্গত।
পুরাণের রচয়িতা হলেন মহর্ষি বেদব্যাস। পুরাণকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ১) মহাপুরাণ এবং ২) উপপুরাণ। তবে বর্তমান পুরাণ সাহিত্যে প্রধান পুরাণ বলতে বোঝায় মহাপুরাণকেই।
মোট ১৮টি মহাপুরাণ রয়েছে। সেগুলি হল - ব্রহ্ম, পদ্ম, বিষ্ণু, শিব, ভাগবত, নারদ, মার্কন্ডেয়, অগ্নি, ভবিষ্য, ব্রহ্মবৈবর্ত, লিঙ্গ, বরাহ, স্কন্দ, বামন, কূর্ম, মৎস্য, গরুড় ও ব্রহ্মান্ড।
স্কন্দ পুরাণে সবচেয়ে বেশি শ্লোক রয়েছে, ৮১,১০০টি। এটি সবচেয়ে বড় পুরাণ। এরপর যে পুরাণে সবচেয়ে বেশি শ্লোক রয়েছে, তা হল পদ্ম। তাতে রয়েছে ৫৫ হাজার শ্লোক।
উল্লেখ্য, মার্কন্ডেয় পুরাণে সবচেয়ে কম শ্লোক রয়েছে। সেখানে শ্লোকের সংখ্যা ৯ হাজার। মহাভারতের স্বর্গারোহন পর্বে এবং হরিবংশে এই অষ্টাদশ পুরাণের উল্লেখ রয়েছে।