বিহার, উত্তর প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের বিস্তপৃত এলাকায় ছট উত্সব অত্যন্ত জনপ্রিয়। হিন্দুধর্ম মতে, সূর্যপুজোর জন্য এটি একটি মহাউত্সব বলেই ধরা হয়।
বর্তমানে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পালিত হচ্ছে ছট মহাপর্ব। এই পুজোয় কোনও মূর্তি বা প্রতিমা পুজো করা হয় না। শুধুমাত্র সূর্যদেব, ষষ্ঠীদেবীকে উপাসনা করা হয়।
সন্তানদের সুখ, সমৃদ্ধি, উন্নতি, সৌভাগ্য ও সুখী জীবনের কামনায় নারী ও পুরুষ উপবাস পালন করে থাকেন। হিন্দু ধর্মে এই ছট উৎসব এক বা দুই দেবদেবীর পুজো করা হয় না।
ষষ্ঠী মাতা, ঊষা, প্রকৃতি, জল, বায়ু ও সূর্য দেবতার বোনকেও উৎসর্গ করা হয়। এই উৎসবকে সূর্যষষ্ঠীও বলা হয়।
দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের স্ত্রী জাম্ববতীর এক পুত্রসন্তান ছিল। তাঁর নাম শাম্ব। একবার সকালে যখন শাম্ব স্নান করছিলেন, তখন শাম্বকে দেখে ঋষি গঙ্গাচার্য ক্রুদ্ধ হন।
সেই পরিস্থিতিতে শাম্বকে কুষ্ঠরোগী হওয়ার অভিশাপ দেন। সেই সময় শাম্বকে এই অভিশাপ থেকে মুক্তির উপায় বাতলান মহর্ষি নারদ।
শাম্বকে ১২ স্থানে সূর্যমন্দির নির্মাণ করতে বলেন। তারপরে শাম্ব উলার্ক, লোলার্ক, আউঙ্গার্ক, কোনার্ক, দেবর্ত- সহ ১২টি স্থানে সূর্য মন্দির নির্মাণ করেন।
শাম্ব পুরো এক মাস উলার পুকুরে স্নান করে সূর্যদেবতার আরাধনা করেন। তারপর সূর্যদেবের আশীর্বাদে কুষ্ঠুরোগের অভিশাপ থেকেও মুক্তি পান।
বর্তমানে আজও কৃষ্ণপুত্র শাম্বের নির্মিত বিখ্যাত উলার সূর্য মন্দিরে ছট পুজোর আয়োজন করা হয়। মনে করা হয়, এখানে সূর্যদেবকে পুজো করলে রোগনিরাময় হয়, মনষ্কামনা পূরণ করা হয়।