পৌরাণিক কাল থেকে সূর্য দেবতার মর্যাদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্চদেবদের মধ্যে সূর্যই একমাত্র ঈশ্বর, যিনি প্রকাশ পান সকলের সামনে।
কথিত আছে যে প্রতিদিন সূর্যদেবকে জল অর্পণ করলে খ্যাতি, পুণ্য, সুখ, সৌভাগ্য ও প্রতিপত্তি লাভ করেন। হিন্দু ধর্মে সূর্যোদয় থেকে উপবাসের সূচনাও বৈধ।
সূর্যকে জল নিবেদনের নিয়মিত সময় থাকে। সূর্য পূজার সঠিক সময় অনেকেই জানেন না। শীতকালে সূর্য দেবতার পূজার ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব।
ঋগ্বেদ অনুসারে, সূর্যোদয়ের ১ ঘন্টার মধ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করা উচিত। কারণ এই সময়ে সূর্য দেবতা শীতল প্রকৃতিতে অবস্থান করেন।
এ সময় সূর্যের রশ্মি রোগমুক্তিআশীষ প্রদান করেন। সাফল্য, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং রাজার আশীর্বাদ লাভ করেন ভক্তরা।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যকে অন্য সমস্ত গ্রহের রাজা বলে মনে করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে দেখা যায় যে শুধু মানুষই নয়, দেবতারাও সূর্যের উপাসনা করেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যকে নয়টি গ্রহের মধ্যে প্রথম গ্রহ, পিতার অনুভূতি ও কর্মের প্রতীক বলে মনে করা হয়। পিতা ও পুত্রের সম্পর্কের বিশেষ সুবিধার জন্য সূর্য সাধনা করা উচিত।
রোজ বা রবিবার সূর্যকে জল অর্পণ করলে অশুভ সমস্যা দূর হয়, ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রাজকীয় সুখ লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
শীতকালে সূর্যকে নমস্কার করাকে সর্বাঙ্গীণ ব্যায়াম বলা হয়। এমনটা করা হলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক শান্তিও পাওয়া যায়।