শারদ পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোয় পেঁচায় চড়ে বৈকুন্ঠ থেকে মর্ত্যে আগমন করেন দেবী লক্ষ্মী। ভক্তদের ডাকে লক্ষ্মী সাড়া দিতেই তাঁর আগমন ঘটে।
তাঁর আগমনেই ধরিত্রী সুজলাসুফলা হয়ে ওঠে। তাই তাঁর আগমনকে স্বাগত জানাতে লক্ষ্মীর আরাধনা হয়ে ওঠে। প্রতি কোজাগরীতে লক্ষ্মীর বন্দনা করেন প্রতিটি বাঙালি।
লক্ষ্মীপুজোর আগে মিলিয়ে নিন কোনওকিছু বাদ গেল কিনা। কারণ লক্ষ্মীর প্রিয় জিনিসগুলি বাদ পড়লে রুষ্ট হন তিনি। লক্ষ্মীপুজোর আগে গঙ্গাজল দিয়ে জায়গা আগে পরিষ্কার করা উচিত।
ঘটস্থাপনের জন্য ঘট, তেল, সিঁদুর দরকার। এদিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করা হয়েথাকে। এছাড়া আমপাতা, গাঁদা ফুল, কলা বা হরিতকী। মন্ত্র ছাডাই ঘটস্থাপন করতে পারেন।
এই কোজাগরী পূর্ণিমায় অবশ্যই লক্ষ্মী পুজোর পর লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করা উচিত। কারণ লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়লে ও শ্রবণ করলে ধনলাভ প্রাপ্ত হয়।
লক্ষ্মীপুজোয় লাগবে ধানের শীষ, পানের সুপারি। এই তিন জিনিস ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। এছাড়া টাকা, পাঁচ কড়াই, কড়ি, হলুদ, একসরা, আতপ চাল, দই, মধু, চিনি, গব্যঘৃত, চন্দ্রমালা, হরিতকীর প্রয়োজন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কলার পেটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সামগ্রী। কলার খোসা দিয়ে তৈরি নৌকাকে সপ্ততরী বলা হয়। এছাড়া পুজোয় নাড়ু, গুড়ের নাড়ু, খই, মট, রসাল ফল নৈবেদ্য হিসেবে নিবেদন করা উচিত।
এছাড়া লাগবে বেলপাতা, দুর্বা, গামছা, গুণ্ডহাঁড়ি, দর্পণ, পঞ্চগুড়ি, পঞ্চগব্য, পঞ্চরত্ন. সশিষ ডাব, তীর, পুষ্প, তুলসী পাতা। ভোগ হিসেবে এদিন খিচুড়ি, সুজি নিবেদন করা হয়।
লক্ষ্মীপুজোয় তুষ্ট করতে লক্ষ্মীর শাড়ি, নারায়ণের ধুতি, লোহা, শঙ্খ, বালি, কাঠ, ঘি, হোমের জন্য বেলপাতা, পেঁচার জন্য ধুতি নিবেদন করা হয়।