রথযাত্রার জন্য কাঠ কাটা থেকে শুরু করে, সেই কাঠ পুজো করা ও কাঠামো নির্মাণপর্ব শুরু হয়ে যায় অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই।
জগন্নাথের রথ তৈরির জন্য প্রায় ৫ ফুট লম্বা কাঠের টুকরো মন্দিরে পৌঁছায়। একই সঙ্গে বন থেকে কাঠ বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
কথিত আছে, রথ তৈরির জন্য কাঠ আনা হয় নয়াগড় জেলার দাসপাল্লা ও মহিপুরের জঙ্গল থেকে। এই জঙ্গলে সাধারণের প্রবেশ করা নিষিদ্ধ।
মন্দিরের নিয়ম অনুসারে, পুরুষোত্তম জগন্নাথকে ‘দারুব্রহ্ম’ও বলা হয়ে থাকে। দারু কথার অর্থ হল কাষ্ঠ , আর সেই কাষ্ঠ হল নিমকাঠ।
রথ তৈরিতে ব্যবহৃত কাঠ কাটা হয় একটি সোনার কুড়াল দিয়ে। জগন্নাথের রথ তৈরির জন্য নির্দিষ্ট জঙ্গল থেকে কাঠ আনা হয়।
কাঠ কাটার অনুমতি নেওয়া হয় বনদেবীর কাছ থেকে। একই সময়ে, সেখানে বিশেষ রীতিতে পুজো করা হয়ে থাকে।
কথিত আছে, পুজোয় কোনও বাধা না থাকলে কাঠ কাটতে মায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়। মালি গোষ্ঠীর বাসিন্দারা প্রায় ১০০বছরেরও বেশি সময় ধরে এই গাছগুলি পাহারা দিয়ে চলেছেন।
কথিত আছে যে প্রতি বছর ভগবান জগন্নাথ, বোন সুভদ্রা এবং ভাই বলভদ্রের জন্য তিনটি পৃথক রথ তৈরি করা হয়। সেজন্য মোট ৮৬৫টি কাঠের টুকরো ব্যবহৃত হয়।