জগন্নাথদেবের রথযাত্রা থেকে উলটো রথযাত্রার মধ্যে পুজো করা হয় বিপত্তারিণী দেবী চণ্ডীর। এই সময়ের মধ্যে মঙ্গল ও শনিবারে হয় এই পুজো।
সকল দৈবীরূপী শক্তিময়ী দেবী চণ্ডীর হাতে অসুর, দৈত্য, দানব প্রভৃতির বিনাশ হয়। স্বর্গ-মর্ত্য নির্বিশেষে সমগ্র সৃষ্টিতে দুর্গতি দূর করে শান্তি আনেন তিনি।
নারদীয় পুরাণে তাই বিষ্ণুকে সর্বশক্তিমান এবং দুর্গাকে সর্বশক্তিময়ী বলা হয়েছে। বৈদিক যুগে এই সময়েই ভগবান বিষ্ণু ও গৌরীর পুজো প্রচলিত ছিল। সেই ঐতিহ্য মেনে রথের পরেই বিপত্তারিণী চণ্ডীর পুজো চলে আসছে।
মহাভারতে যুদ্ধের পূর্বে পাণ্ডবদের বিপদ নাশ ও নিজের বৈধব্য প্রতিরোধের জন্য দ্রৌপদী গৌরীর আরাধনা করেছিলেন ও যুদ্ধ শেষে স্বামীর জীবন রক্ষায় তাঁদের হাতে ১৩টি লাল সুতো বেঁধে দিয়েছিলেন।
পুরাণে কৌশিকীদেবী নামে খ্যাতা। আবার তিনিই জয়দুর্গা। দেবীর উৎপত্তি হয়েছিল পরমেশ্বর ভগবান শিবের অর্ধাঙ্গিনী দেবী পার্বতীর কৃষ্ণ কোশ থেকে-তাই তিনি কৌশিকী।
পুরাণ মতে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই অসুরের হাতে দেবতারা পরাজিত হয়ে হিমালয়ে গিয়ে মহামায়ার স্তব করতে লাগলেন।
পরমেশ্বরী ভগবতী পার্বতী সেই স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন। দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন –”আপনারা এখানে কার স্তব করিতেছেন?”
সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে তার মতন দেখতে আর এক দেবী বের হয়ে আসলেন। সেই নব আবির্ভূতা দেবী জানালেন – “ইহারা আমারই স্তব করিতেছেন।”
মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুরের হাতে পরাজিত দেবতারা হিমালয়ে মহাদেবীর আরাধনা করেছিলেন।
উপাসনা চলাকালীন দেবী পার্বতীর শরীর থেকে তাঁর মতনই দেখতে অন্য এক দেবী আবির্ভূতা হয়েছিলেন। তিনিই হলেন দেবী বিপত্তারিণী।