কথিত আছে, মহাদেব হলেন দেবতাদের দেবতা। তাঁর কোনও ধবংস নেই। তিনি সাধারণ থেকেও অসাধারণ। সব দেবতাদের থেকেও আলাদা তিনি।
পৌরাণিক ও হিন্দু পুরাণ অনুসারে, মহাদেবের রয়েছে নানা নাম, নাানা রূপ। মহেশ্বরকে নীলকান্ত, চন্দ্রশেখর নামেও ডাকা হয়। তবে এর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কাহিনি।
কিংবদন্তি মতে, একটা সময় ছিল, যখন স্বর্গের দেবদেবীদের সঙ্গে রাক্ষসদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ তৈরি হয়। হিন্দুধর্মে সেই মহাসঙ্কট সমুদ্রমন্থন নামে পরিচিত।
মন্থনের সময় সাগর থেকে হলাহল নামে বিষাক্ত বিষ উত্থিত হয়। সেই মন্ত্রণের সময় হলাহলের বিষাক্ত প্রভাবে গোটা বিশ্বই ধ্বংসের মুখে পড়ে।
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে ধ্বংসের হাত থেকে মুক্তি দিতে মহাদেব সেই বিষাক্ত বিষ নিজের কণ্টে ধারণ করেন। সেই বিষের জ্বালায় তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। সেই থেকে তাঁর নাম হয় নীলকান্ত।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে,বিষ পানের জ্বালায় ও চরম প্রভাবে ভোলেনাথের তীব্র জ্বর শুরু হয়েছিল। সেই বিষের জ্বালাকে শীতল করতে চন্দ্রদেব-সহ স্বর্গের সব দেবদেবীই তাঁর মাথায় চন্দ্রকে ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এক পৌরাণিক কাহিনি মতে, চন্দ্রমার স্ত্রী ছিলেন ২৭ জন নক্ষত্রকন্যা। তাদের মধ্যে রোহিণী ছিলেন চন্দ্রদেবের সবচেয়ে প্রিয় এক পত্নী। রোহিনীকে ভালোবাসায় কষ্ট পেয়েছিলেন চন্দ্রমার অন্যান্য স্ত্রীরা।
সেই কারণেই চাঁদের গায়ে ক্ষত-বিক্ষত হওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। ভিতরে ভিতরে ক্ষয় হতে থাকে। চন্দ্রদেবের এমন পরিস্থিতি দেখে নারদ চন্দ্রমাকে মহাদেবের আরাধনা করতে বলেন।
চন্দ্রদেব শিবনাম জপে কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করে। শিবের কৃপায় পূর্ণিমায় চাঁদ পূর্ণরূপে আবির্ভাব হতে শুরু করে। চন্দ্রের অনুরোধে মহাদেব জটায় অর্ধচন্দ্র ধারণ করেন।