প্রায় পাঁচ হাজার বছরেরও আগে এই পবিত্র তিথিতেই মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত অর্জুনকে জীবনের বিরাট পাঠ হিসেবে গীতার বাণী আওড়েছিলেন।
সেই বাণীই শ্লোক আকারে বর্ণিত রয়েছে শ্রীমদ্ভগবত গীতায়। সাধারণত, মোট ১৮টি অধ্যায় রয়েছে গীতায়। গীতার অর্থ হল, একজন মানুষের সমস্ত জীবনের প্রতিটি দিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
প্রতি বছর মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে গীতা জয়ন্তী পালন করা হয়। এদিন, দেশের সব জায়গায় ধর্মগ্রন্থ গীতা পাঠ করার নিয়ম। দেশের বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে হোম, যজ্ঞ, গীতা পাঠ করা হয়ে থাকে।
এবছর গীতা জয়ন্তী পালিত হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর,শুক্রবার। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হল হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এবছর গীতার ৫১৬০তম বার্ষিকী হতে চলেছে।
তা জয়ন্তীর দিনে শুধু গীতাকে পুজো ও পাঠ করা হয়, তাই নয়, শ্রীকৃষ্ণ ও বেদব্যাসকে পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত গীতায় লেখা শ্লোকগুলি সব মানুষের কল্যাণের জন্যই নিবেদিত।
গীতার প্রতিটি শ্লোক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ বর্ণিত। কলিযুগে শিক্ষা ও জীবনযাপনের মাহাত্ম্যের বিভিন্ন দিকের পাঠ বর্ণিত হয়েছে। এই বিশেষ ও পবিত্র দিনে গীতা পাঠ করলে শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, সব মানুষের সমস্ত দুঃখ-কষ্টও কেটে যেতে পারে। এছাড়াও, এ দিনে, পূর্বপুরুষদের মোক্ষলাভের জন্যও শুভ। এদিনে, শ্রীকৃষ্ণের পাশাপাশি বিষ্ণুর পুজোও করা উচিত।
তাঁর আশীর্বাদ পেতে এদিন বেশ কিছু নিয়মও মেনে চলা উচিত। সাধারণত ডিসেম্বর মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতে গীতা জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়।