শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু প্রথম ‘মহাপ্রসাদ’ শব্দটি প্রচলন করেন। পুরীধামে ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয়। যা ‘ছাপ্পান ভোগ’ নামে খ্যাত।
কথিত আছে, মহালক্ষ্মী প্রতিদিন জগন্নাথদেবের জন্য ভোগ রান্না করেন। তারপর সেই ভোগ মহাপ্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয়।
প্রাচীন এই মন্দিরে ভোগ রান্না করা হয় আদি নিয়ম-রীতি মেনে। দেবদর্শনের পাশাপাশি পুরীর মহাপ্রসাদ অত্যন্ত জনপ্রিয়। রোজ হাজার হাজার ভক্তের জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহে ভোগ রান্না করা হয়।
প্রথম ভোগ জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম ও বিমলাদেবীকে নিবেদন করা হয়। তারপরই সেই ভোগ মহাপ্রসাদ হিসেবে পরিণত হয়। তবে এই রান্নাপদ্ধতিতে রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম।
জগন্নাথরদেবের ৫৬ ভোগের মধ্যে থাকে বিভিন্ন পদ, যেগুলি সাধারণত জগন্নাথদেবের তথা শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত পছন্দের খাবার ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়।
জগন্নাথদেবের ভোগে সবসময় দেশি সবজি ব্যবহৃত হয়। তবে সেই সবজির মধ্যে আলু ও টমেটোকে দেশি খাবার বলে মনে করা হয় না।
এছাড়া ভোগে কখনও থাকে না বিট, ভুট্টা, বাঁধাকপি, মটরশুটি, গাজর, ধনেপাতা, বিনস, ক্যাপসিকাম, করলা, ঠেঁড়শ, শশা, কাঁচালঙ্কা।
এছাড়া তেলও ব্যবহার করা হয় না। ভোগের রান্নায় শুধুমাত্র দেশি ঘি বিক্রি করা হয়ে থাকে। মশলাও দেওয়া হয় কমমাত্রায়। এলাচ ও লবঙ্গ ভোগের কোনও রান্নায় ব্যবহার করা হয় না।
পুরীর বিখ্যাত মন্দিরের অন্দরে রয়েছে বিরাট রান্নাঘর। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজারের বেশি ভক্তের জন্য রান্না করা হয়।