বাঙালি গৃহস্থের কাছে সত্যনারায়ণের পুজো হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার। বাংলা সাহিত্যেও পাঁচালি নামে একটি ধারা রয়েছে যেখানে সত্যনারায়ণের কথা বা সত্যনারায়ণের পাঁচালির উল্লেখ রয়েছে।
মধ্যযুগে রচিত স্কন্দ পুরাণেও এই পুজোর বর্ণনা করা হয়েছে। এই পুজো সাধারণত বাড়িতেও অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও সত্যনারায়ণের পুজো করা হয়ে থাকে।
পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো করার নিয়ম, তবে কেউ কেউ একাদশী তিথিতেও পুজো করে থাকেন। চন্দ্র পাক্ষিকের একাদশ দিনে এই পুজো করার রীতি রয়েছে।
শাস্ত্র অনুযায়ী, ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে জড়িয়ে একটি দিন পুজো করেন অনেকে। পূর্ণিমা ও একাদশীর দিনে সত্যনারায়ণের পুজো করা হয়ে থাকে।
ভগবান বিষ্ণুর অপর রূপ, যিনি চিরন্তন সত্যের প্রতীক। নারায়ণের এই মূর্ত প্রতীক (ভগবান বিষ্ণুর অপর নাম), সত্যের প্রতিনিদিত্ব করেন যিনি, তিনিই ,সত্যনারায়ণ।
হিন্দু সৃষ্টিতত্ত্বের চার যুগের শেষ কলিযুগে দেবতা নারায়ণ ভক্তরা কীভাবে সত্যনারায়ণ পূজা করবেন, সেই নিয় বলা হয়েছে। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পাঁচটি কথা, যা পাঁচালি নামে পরিচিত ।
সত্যনারায়ণের পুজোর জন্য পাঁচালি পড়া হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । তবে এই পুজোর জন্য পুরোহিতের সাহায্য নিতে পারেন। আবার পুরোহিত ছাড়াই নিজেই পুজোর ব্য়বস্থা করতে পারেন।
পুরোহিতের সাহায্যে সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলতে পারেন। আসলে ভক্তদের নিষ্ঠা ও ভক্তির বাইরে কোনও পুজোই সফল হয় না। এই ব্রত পালন ও পুজো করে ভক্তরা সব দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পুজোর উদ্দেশ্য হল যতটা সম্ভব মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো, সকলের সঙ্গে পাঁচালি পড়া ও প্রসাদ বিতরণ করা উচিত। প্রকৃতি অর্থে সত্যনারায়ণের পুজো সামাজিক বাধা-বিপত্তিতে মুছে দেয়।