মামা-পিসি ছেড়ে শুধু কেন মাসির বাড়িই যান জগন্নাথ?
TV9 Bangla
Credit - Getty Images
দিঘা থেকে পুরী এখন জুড়ে গিয়েছে এক সুতোয়। জুড়েছেন জগন্নাথ দেব। একদিকে সৈকত শহর, অন্য দিকে চার ধামের এক ধাম পুরী।
এই দুই জায়গায় সোজা রথের দিনে বেরিয়েছে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার রথ। উৎসব মুখর হয়েছেন পুণ্যার্থীরা। মাসির বাড়ি যাচ্ছেন তিন ভাই-বোন।
তবে এই মাসির বাড়ি ছাড়া আর কারওর বাড়িতে কেন যান না জগন্নাথ দেব? মামার বাড়ি, পিসির বাড়ি কি নেই তাদের?
হিন্দুধর্মে, জ্যোতিষশাস্ত্রে ও বাস্তুশাস্ত্রে তুলসী গাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রে, বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে তুলসী গাছ না রাখলে জীবনে বিপদ ঘনিয়ে আসে।
পুরাণ বলছে, জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার কিন্তু মাসির বাড়িও নেই। বছর-বছর ধরে যাকে মাসি বলে চিনেছে মানুষ, তার সঙ্গে সেই রকম কোনও সম্পর্কই নেই তাদের।
প্রতি বছর ন'দিনের জন্য যে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথ দেব। তাকে বাঙালি তথা গোটা দেশ সোজা রথ বলে চেনে।
তবে জগন্নাথ দেবের শরীর সম্পূর্ণ তৈরি না হলেও, তার কথিত মাসি কিন্তু একেবারে আস্ত একজন মানুষ ছিলেন, বলছে পুরাণ।
রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার মূর্তি তৈরি কাজ শুরু করেছিলেন। পরবর্তী তা সম্পূর্ণ না হলেও, সেই দিয়ে শুরু হয়েছিল পুজো। পুরীতে তৈরি হয়েছিল শত প্রাচীন জগন্নাথ ধাম।
মন্দির তৈরি হতেই জগন্নাথ দেবকে দেখার জন্য প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রী গণ্ডিচা দেবীর। সেই সময়ই তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন জগন্নাথ দেব।
পুরাণ মতে, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রীকে জগন্নাথ দেব বলেন, বছরে ন'দিন সে তাদের বাড়িতে আসবে থাকবে। এই জগৎ যাকে রথযাত্রা বলে চিনবে।
সেই থেকে নাকি প্রচলিত হয়ে আসছে এই প্রথা। বছরের পর বছর ধরে পুরীর মূল মন্দির থেকে রথ চেপে বেরিয়ে পড়েন জগন্নাথ দেব। তারপর পৌঁছে যান মাসির বাড়ি। আর মামা-পিসি, পুরাণ বলছে, জগন্নাথের আত্মীয় একা মাসি।