পুজোর রয়েছে হরেক বিধিনিষেধ। রয়েছে নিয়মআচারও। হিন্দুধর্মে উপাসনা বা আরাধনার একটি গুরুক্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যা পবিত্র ও পরিচ্ছন্নতার প্রতীক।
পরিষ্কার পোশাক পরিহিত হয়ে, স্নান করে শুদ্ধ হয়ে, উপাসনার নানা উপাচারগুলি মেনে, মন্ত্রপাঠ করে হিন্দুদেবদেবীদের পুজো করার চল রয়েছে।
অন্যদিকে হিন্দুধর্মে পুজো করার সর্বজনবিদিত নিয়ম থাকলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ উল্লেখ রয়েছে। মনে করা হয়, বিশেষ আচার মানলে তা থেকে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করা হয়, মহিলাদের পিরিয়ডের সময় মন্দিরে বা পুজোর স্থানে থাকা অনুচিত। মাসিকের সময় মহিলাদের পুজো করা উচিত নয়, এটা কতটা সত্যি!
প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। কথিত আছে, পিরিডয়ের সময় মহিলাদের শরীরে এক অন্য শক্তি প্রবাহিত হয়। এই শক্তি ঈশ্বর সহ্য করতে পারেন না একেবারেই।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও মহিলা তার মাসিকের সময় তুলসীতে জল ঢালেন, তাহলে সেই তুলসী গাছ শুকিয়ে যায়। এই কারণে পিরিয়ডের সময় মন্দিরে যাওয়া নিষিদ্ধ।
মাসিকের পঞ্চম দিনে, চুল ধুয়ে, পরিষ্কার হয়ে,পুজোর উপাচার মানতে পারেন। অনেকের আবার পিরিয়ড সাতদিন পর্যন্তও স্থায়ী থাকে। তবে নিয়ম মেনে ৫দিন পর চুল ধুয়ে পুজোয় যুক্ত হতে পারেন।
অনেকসময় উপবাস বা পুজো করার মধ্যেও পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। প্রথাগত নিয়ম মতে, উপবাস রাখা চললেও মন্দিরে পুজো করা চলবে না। উপবাস রাখলেও ফল পাওয়া যায় না। কাউকে দিয়ে পুজো দিয়ে দিতে পারেন।
ভারতের কিছু জায়গা প্রথা রয়েছে, মাসিকের সময় দই, তেঁতুলের মতো টক খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। এই টক খাবার খেলে মাসিকের রক্তপ্রবাহকে বন্ধ করে দিতে পারে। যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ নেই।