অম্বুবাচী মেলার প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। টানা তিনদিন দেবীর পুজো ও দর্শন পান না ভক্তরা।
বেদপাঠ, পুজোপাঠ করাও এই সময় নিষিদ্ধ। তবে তিনদিন পর মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য।
মন্দিরে প্রবেশদ্বার খুলে দিলে ভক্তরা দেবীর আশীর্বাদ পান ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
চতুর্থ দিনে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার পর ভক্তদের মধ্যে পবিত্র ও বিশেষ প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
'অঙ্গোদক' ও 'অঙ্গবস্ত্র' নামে ২ ধরনের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই পবিত্র প্রসাদ পেতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।
'অঙ্গোদক' শব্দের অর্থ হল শরীরে তরল অংশ। যা ঝরণার জল হিসেবে মনে করা হয়।
'অঙ্গবস্ত্র' শব্দের অর্থ হল শরীর ঢেকে রাখা কাপড়। এই সময় লাল কাপড় বা বস্ত্র দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
মন্দিরের রীতি অনুযায়ী, দেবীর মাসিকচক্রের সময় যোনি আকৃতির পাথর ঢেকে রাখার জন্য সাদা বস্ত্র ঢেকে রাখা হয়।
তৃতীয় দিন মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার সময় সেই বস্ত্র সাদা থেকে লালে পরিণত হয়। আর সেই বস্ত্রই রক্তবস্ত্র নামে বিখ্যাত।
বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দির দর্শন করতে আসা ভক্তরা সকলেই দেবীর আশীর্বাদ পেতে চান। রক্তবস্ত্র পেতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।