জগত্ সংসারে রুদ্রাক্ষ ধারণ ও শিবলিঙ্গের পুজোর সঙ্গে কিছু নিয়ম জড়িত রয়েছে, যা পালন না-করলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।
শাস্ত্র মতে, রুদ্রাক্ষ ধারণ করার ফলে ব্যক্তির মধ্যে আধ্যাত্মিক দিক জাগ্রত হয়। ব্যক্তির মন শান্ত রাখতে ও জীবনে সঠিক পথ বাছতে এই রুদ্রাক্ষের মালা অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
কোনও মহিলা সন্তান ধারণ করলে, প্রসবের পর অশৌচ কাটলে তারপরই রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করতে পারেন।
শাস্ত্রমতে, অশৌচকালে মহিলারা অপবিত্র থাকেন। রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অবশ্যই আমিষ খাবার ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা উচিত। তাতে রুদ্রাক্ষ অশুদ্ধ হয়।
ঘুমনোর সময় রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন না। যাঁরা দুঃস্বপ্ন দেখে বিচলিত হয়ে যান, তাঁরা বালিশের তলায় রুদ্রাক্ষ রেখে দিতে পারেন।
অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে যদি যেতেই হয় তাহলে রুদ্রাক্ষ খুলে রেখে যান। তাতে রুদ্রাক্ষ অশুদ্ধ হয়ে যায়।
কখনও কারোর পরে থাকা রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে নেই। নিজের রুদ্রাক্ষও কাউকে দেবেন না।