মহাদেবের উপর আর কেউ শ্রেষ্ঠ নয়। তিনি হলেন ত্রিলোকনাথ পরমেশ্বর। হিন্দু পুরাণে মহাদেবের নানাকাহিনি ও কীর্তির কথা উল্লেখ রয়েছে।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একটা সময় আসে, ভগবান সদাশিব ও পরাশক্তির মনে অন্য মানুষ সৃষ্টির মনোবাসনা জাগে।
ই ইচ্ছা পূরণের জন্য তারা উভয়েই তাদের ডান দিক থেকে ব্রহ্মাদেব ও বাম দিক থেকে বিষ্ণুদেবকে সৃষ্টি করেছিলেন।
ব্রহ্মাদেব ও পরাশক্তি সৃষ্টি করার পর, ভগবান বিষ্ণুর পদ্মনাভিতে স্থাপন করেছিলেন তাঁরা। এভাবে ভগবান বিষ্ণুর নাভি পদ্ম থেকে ব্রহ্মাজির উৎপত্তি হয়।
সৃষ্টি করার পর ব্রহ্মাকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়, অন্যদিকে বিষ্ণুদেব মহাবিশ্বের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পান।
বৃহৎ শিবপুরাণ’ অনুযায়ী ত্রিদেবের মধ্যে প্রাচীনতম মহাদেবই। বলা হয় তিনিই অন্যান্য দেবতাদের সৃষ্টি করেছিলেন।
শিবপুরাণ মতে, তিনি আসলে স্বয়ম্ভূ। শিবকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজে নিজেই উদ্ভূত হয়েছিলেন।
সব ধ্বংস হয়ে গেলেও তিনি থেকে যাবেন। তিনি আদিঅনন্তকাল ধরে বিরাজমান। ব্রহ্মা শিবের মূর্তি ভাবলেন, এই সুঠাম, শক্তিশালী ও সুদর্শন মূর্তি কার? সেইসময় ভগবান বিষ্ণু তাঁকে শিবের কথা জানান।