রামায়ণের মূল চরিত্র হলেও , হিন্দুদের কাছে তিনি ভগবান রূপেই পূজিত হন। কবিকালিদাস লিখেছেন, হরির্যথৈকঃ পুরুষোত্তমঃ স্মৃতঃ।
এর অর্থ হল. শ্রীহরিই হলে বিষ্ণু। ভগবান বিষ্ণুকেও পুরুষোত্তম বলা হয়। অনেকেই বিষ্ণুর অন্যতম অবতার রামচন্দ্র বলে মনে করা হয়।
শাস্ত্র অনুসারে, রামচন্দ্র হলেন মর্যাদা পুরুষোত্তম, আর কৃষ্ণ হলেন লীলা পুরুষোত্তম। আর এই মর্যাদা শব্দের অর্থ কী?
শাস্ত্র মতে, মর্যাদা মানে পুরুষ। তবে বাংলা অভিধানে মর্যাদা শব্দের অর্থ হল মান-সম্মান, বিশ্বাস, সীমা। মর্যাদা অতিক্রম না করা মানেই, সীমা পার না করা।
পৌরাণিক কাহিনি মতে, একবার দশরথ রাণী কৈকেয়ীকে দুটি বর দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। কিন্তু সেই বর পরবর্তী সময়ে নেবেন বলে জানিয়েছিলেন রাণী।
পরবর্তীকালে কৈকেয়ী বর হিসেবে রামের বনবাস ও ভরতের রাজ্য়াভিষেক চেয়েছিলেন। এমন বর দিতে অস্বীকার করলে, সেই সময় কৈকেয়ী মর্যাদা প্রসঙ্গ তোলেন।
রামচন্দ্রকে মর্যাদা পুরুষোত্তম বলা কারণ হল, তিনি জীবনের আদর্শ একজন মহান পুরুষ। সমস্তক্ষেত্রে নিজের সীমা বুঝে কাজ করেন, ধর্মের নিয়মে কখনও সীমা অতিক্রম করেন না তিনি।
ধর্ম, শৃঙ্খলা, ধর্মের নিয়ম, সমাজে যিনি সীমা রেখে কাজ করেন, পুরুষদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তিনিই হলেন মর্যাদা পুরুষোত্তম।