কৃষ্ণ সকলের আগে ঘুম থেকে উঠে বাঁশি বাজাতে শুরু করেন। মনের খেয়ালে অপূর্ব সুরেলা বাঁশির সুরে গোটা জঙ্গলের পরিবেশ আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে।
জঙ্গলের সব পশু ও পাখীরা মিষ্টি সুরের তালে তাল মিলিয়ে নাচতে শুরু করে। সেখানে উপস্থিত ছিল একদল ময়ূরও। বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে ময়ূরের দলের মধ্যে কয়েকটি ময়ূর বিভোর হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
যখন বাঁশির সুর বন্ধ হয়ে যায়, তখন শ্রীকৃষ্ণের কাছে গুরুদক্ষিণা হিসেবে পেখম ঝরিয়ে ফেলেন ময়ূররাজ। এই উপহার আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেন শ্রীকৃষ্ণ।
একটি পেখম মাথার মুকুটে রেখে তিনি কথা দেন, চিরকাল এই পালক তাঁর মাথার মুকুটে শোভা পাবে। সেই স্থানে অন্য কোনও প্রাণীর পালক এই স্থান নিতে পারবে না।
সেই থেকে কৃষ্ণের মুকুটে সবসময় শোভা পায় ময়ূরের পেখম। শ্রীকৃষ্ণের মাথায় মুকুট থাকা মানে জীবনের সব রঙ ধারণ করার প্রতীক।