এ পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রাণীর জীবনকাল ভিন্ন। কেউ কয়েক দশক ধরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। অনেক প্রাণীর জীবনকাল কয়েক বছরেই সমাপ্ত হয়। এ রকম পৃথিবীর কয়েকটি স্বল্পায়ু প্রাণীর কথা জানাব এই প্রতিবেদনে।
মেফ্লাই: এই ধরনের পতঙ্গকে মাঠে, ঘাসে প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়। এই পৃথিবীতে এদের জীবনকাল মাত্র কয়েক ঘণ্টা। জন্মানোর কয়েক ঘণ্টা পরই মৃত্যু হয় এদের। এই ছোট্ট জীবনকালে বংশবিস্তারই এদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য।
মশা: যে মশা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে, সেই মশা জীবনকাল বড় জোর এক সপ্তাহ। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের জীবনকালে মশা রক্ত খায়। ডিম পাড়ার জন্যই রক্ত খায় মশা।
হাউসফ্লাই: হাউসফ্লাই বা ঘরের মাছি হিসাব পরিচিত এই ধরনের পতঙ্গ। এরাও মশার মতোই কয়েক দিন বাঁচে। এই সময়ের মধ্যেই একাধিক প্রজন্ম তৈরি করে এরা। মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ ছড়ায় এরা।
ফ্রুট ফ্লাই: এ ধরনের মাছি সাধারণত কাটা ফল, সব্জিতে বাসা বাঁধে। স্বপ্ল আয়ুর এই পতঙ্গ বিভিন্ন গবেষণায় ব্যবহৃত হয়। এদের জীবনকালও মাত্র কয়েক দিন।
গ্যাসট্রোস্ট্রিচ: জলে বাস করে মাইক্রোস্কপিক এই প্রাণী। মূলত জলেই থাকে এরা। জন্মানোর পর কয়েক ঘণ্টা বা বড়জোড় এক দিন বাঁছে এই প্রাণী। এ দুনিয়ার স্বল্পায়ুদের তালিকায় রয়েছে এই জলজ প্রাণী।
ড্রোন অ্যান্ট: এই ধরনের পিঁপড়ের জীবনকালও খুবই স্বল্প। মাত্র কয়েক দিন বাঁচে এরা। যে কদিন এরা বেঁচে থাকে, খাবার জোগাড়ের পাশাপাশি জনন এদের মুখ্য কাজ।
কর্মী মৌমাছি: মৌচাকে সবথেকে বেশি সংখ্যায় থাকে এ ধরনের মৌমাছি। চাকের জন্য খাবার জোগাড় করা এদের প্রধান কাজ। পাশাপাশি মৌচাকের রক্ষণাবেক্ষণ এবং লার্ভার পরিচর্যাও করে তারা। তবে এদের জীবনকাল মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
ড্রাগন ফ্লাই: এই ধরনের পতঙ্গ ফড়িং হিসাবে পরিচিত। এরাও স্বল্প আয়ু নিয়ে এ পৃথিবীতে আসে। জল, ঘাসের কাছে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এদের জীবনকাল এক সপ্তাহে মতো।