দুটো বিমান দুর্ঘটনা, একটাই সিট, মাঝে ২৭ বছরের ব্যবধান! জুড়ে গেল কোন যোগে?
credit:TV9
TV9 Bangla
এই ঘটনাকে কাকতালীয় বলবেন নাকি অদ্ভুত সমাপতন সেটা পাঠকরাই ঠিক করুন। তবে যা ঘটেছে তাকে কোনও বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করে যায় কিনা জানা নেই।
১২ জুন, ২০২৫ ভারতের বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে কালো দিন বললেও ভুল বলা হয় না। উড়ানের ৩২ সেকেন্ডের মধ্যেই ক্র্যাশ করে AI-171। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের। জীবিত কেবল একজন।
তিনি হলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। এমারজেন্সি দরজার ঠিক সামনের আসন ১১এ ছিল তাঁর সিট নম্বর। কীভাবে তিনি একা বেঁচে গেলেন জানেন না কেউ। তারপরেই উঠে আসছে ২৭ বছর আগের এক বিমান দুর্ঘটনার তথ্য।
১১ ডিসেম্বর ১৯৯৮, থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট TG261 দক্ষিণ থাইল্যান্ডে অবতরণের চেষ্টা করছিল। সেই সময় ঘটে সেই সাঙ্ঘাতিক দুর্ঘটনা।
প্রাণ হারান ১৪৬ আরোহীর মধ্যে ১০১ জন। সেই সময় ওই বিমানে যাত্রা করছিলেন ২০ বছর বয়সী তরুণ গায়ক রুয়াংসাক লয়চুসাক। যার নাম আজ জানেন সকলেই।
কথায় বলে না রাখে হরি মারে কে? এও যেন ঠিক তাই। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান রুয়াংসাক। গিয়ে পড়েন জলাভূমিতে।
সবচেয়ে অবাক করা কথা হল সেদিন রুয়াংসাকের আসন ছিল ১১এ। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার খবর দেখে নিজেই একটি ফেসবুক পোস্টে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
রুয়াংসাক জানান, ১৯৯৮ সালের সেই ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস আর নেই তার কাছে। তবে তিনি জানান সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে তার আসন নম্বর এবং বেঁচে থাকার তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে।