রাজ্যপাল ডেঞ্জারেস ম্যান, এই পদ তুলে দিতে লোকসভায় সরব হব: প্রসূন

"২০১৭ সালে লোকসভায় রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়ার জন্য আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বেশিরভাগ দলই এই পদ তুলে দেওয়ার জন্য সরব হয়েছিল। কারণ মোটা টাকা খরচ করে ওই পদ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।''

রাজ্যপাল ডেঞ্জারেস ম্যান, এই পদ তুলে দিতে লোকসভায় সরব হব: প্রসূন
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2021 | 12:02 PM

হাওড়া: এবার রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সমালোচনায় সরব হলেন হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় (Prasun Banerjee)। মঙ্গলবার শিবপুরে একটি অনুষ্ঠানে এসে রাজ‍্যপালের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতার মতো কথা বলছেন উনি।” তাই রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়ার জন্য লোকসভায় সরব হবেন বলেও মন্তব্য করেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা সাংসদ প্রসূন।

এদিন শিবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতলে দাদা পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবহৃত একটি শয‍্যা দান করেন তিনি। যা স্পোর্টসম্যানদের জন্য রাখা থাকবে। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনা না করে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখর প্রতিদিন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন বিষয়ে টুইট করছেন। ওনার উচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা।

প্রসূন আরও বলেন, যেভাবে রাজ্যপাল কাজ করছেন তাতে বাংলার মানুষকে অপমান করা হচ্ছে। এটা তিনি করতে পারেন না। তিনি যোগ করেন, “২০১৭ সালে লোকসভায় রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়ার জন্য আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বেশিরভাগ দলই এই পদ তুলে দেওয়ার জন্য সরব হয়েছিল। কারণ মোটা টাকা খরচ করে ওই পদ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল দিনের পর দিন যেভাবে বিজেপি নেতার মত আচরণ করছেন, সেজন্য ফের এই পদের প্রয়োজন আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই আবার লোকসভায় এ ব্যাপারে সরব হব।”

আরও পড়ুন: ‘আলাদা হলে ক্ষতি কী?’ বার্লার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিকে সমর্থন আরও এক বিধায়কের 

সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা যেভাবে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল করার জন্য সওয়াল করেছেন তারও কঠোর সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, “কোনও অবস্থাতেই বাংলাকে ভাগ করতে দেব না। এর জন্য যতদূর যাওয়া যায় ততদূর যাব আমরা।”