SSC’s Tainted List: দাগি তালিকায় পাড়ার ছেলের নাম উঠতেই প্রতিবেশীরা বলছেন ‘টাকা দিয়ে পেয়েছে’, বাবার সাফ কথা ‘অত টাকা কোথায় পাব!’

SSC Case: আলিপুরদুয়ার দু'নম্বর ব্লকের যশোর ডাঙ্গা হাইস্কুলে এডুকেশনের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন অসীম। তার আগে শামুকতলা মহাকালগুড়ি মিশন হাই স্কুলে প্যারা টিচারের কাজ করতেন। কিন্তু, ২৬ হাজারের প্যানেলের পুরোটা বাতিল করতেই অসীমের চাকরিটাও চলে যায়।

SSC’s Tainted List: দাগি তালিকায় পাড়ার ছেলের নাম উঠতেই প্রতিবেশীরা বলছেন ‘টাকা দিয়ে পেয়েছে’, বাবার সাফ কথা ‘অত টাকা কোথায় পাব!’
বাম দিকে বাবা, ডান দিকে প্রতিবেশী Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 31, 2025 | 5:26 PM

আলিপুরদুয়ার: আগেই গিয়েছিল চাকরি। এবার নাম একেবারে চাকরিহাদের তালিকায়। পরিবার বলছে তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। পাড়ার লোকেরা যদিও বলছেন টাকা দিয়েই মিলেছিল চাকরি। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের পশ্চিম চকচকার বাসিন্দা অসীম বিশ্বাস। তাঁকে নিয়েই এখন জোর চর্চা এলাকায়। 

আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের যশোর ডাঙ্গা হাইস্কুলে এডুকেশনের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন অসীম। তার আগে  শামুকতলা মহাকালগুড়ি মিশন হাই স্কুলে প্যারা টিচারের কাজ করতেন। কিন্তু, ২৬ হাজারের প্যানেলের পুরোটা বাতিল করতেই অসীমের চাকরিটাও চলে যায়। যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে নতুন নিয়োগের পরীক্ষার জন্য আর যখন সপ্তাখানেক বাকি তখন অসীমের নাম দেখা গেল দাগিদের তালিকায়। খবর সামনে আসতেই তা নিয়েই জোরদার চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকায়। 

অসীমের বাবা প্রফুল্ল বিশ্বাস বলছেন, “খুবই হতাশ হয়ে গিয়েছি। ছোটবেলা থেকে কত কষ্ট করে পড়াশোনা করলাম। আমার সাধ্যমতো ভাল স্কুলে পড়িয়েছি। এখন এসএসসি-তে পাশ করল। চাকরি হল। সেটাও চলে গেল। কাল যেটা হল সেটা মেনে নিতে পারছি না। আমি কাউকে টাকা দেব কী করে! আমার তো অত টাকার সংস্থানই নেই।”  

স্থানীয় বাসিন্দা ভোলা বর্মণ বলছেন, “শুরু থেকেই শুনছি তো টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। ওদের তো পরিবারের অবস্থাও ভাল। টাকা-পয়সাও ভাল আছে। জমি-জায়গা আছে, পাকা বাড়ি আছে। আমাদের তো তাও নেই। এদিকে আমাদের ছেলে তো কত জায়গায় ট্রেনিং নিল। কিন্তু এখনও কোনও চাকরি হয়নি।”