স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকেও মিলছে না চিকিত্‍সা, অনশন করে ‘আত্মহত্যার’ হুমকি রোগীর!

Swastha Sathi Card: ওই রোগীর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে টিউমরের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন সুমুরঞ্জন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিত্‍সা হয়নি। সম্প্রতি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেও পরিষেবা মেলেনি বলে অভিযোগ।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকেও মিলছে না চিকিত্‍সা, অনশন করে 'আত্মহত্যার' হুমকি রোগীর!
রোগী সুমুরঞ্জন কর, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 3:02 PM

আলিপুরদুয়ার: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ( Swastha Sathi card) থাকলে রোগীকে ফেরাতে পারবে না কোনও হাসপাতাল। কার্যত, বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ কার্যকর বাধ্যতামূলক করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। কিন্তু সেই নির্দেশকে ফের অমান্য করার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের এক নার্সিংহোমে। চিকিত্‍সা না পেয়ে এখন অনশন করেই মৃত্যুবরণ করার হুমকিও দিলেন খোদ রোগী সুমুরঞ্জন কর।

ওই রোগীর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে টিউমরের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন সুমুরঞ্জন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিত্‍সা হয়নি। সম্প্রতি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেও পরিষেবা মেলেনি বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বেসরকারি নার্সিং হোম গুলিতে চিকিৎসার জন্য আবেদন জানিয়ে আসার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সুমুরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, ‘দুয়ারে সরকারের’ শিবিরের আগেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্য়মে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়ে ও এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা মেলেনি। চিকিত্‍সা না মিললে অনশন করে ‘আত্মহত্যা’ করার হুমকিও দিয়েছেন ওই রোগী।

সুমুরঞ্জনের কথায়, “ব্যথায় নড়তে চড়তে পারি না। এত মাথা যন্ত্রণা! শরীরের এই অবস্থার জন্য় কাজ জোটেনা। বাড়িতে রয়েছে মেয়ে আর বউ। মেয়েটার বিয়ে দিতে পারিনি। বউয়ের শরীর খারাপ। চিকিত্‍সা যখন পাবই না,  এইভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে মরার চেয়ে একবারে মরে যাওয়া ভাল।” তাঁর স্ত্রী বলেছেন, “ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন আমার স্বামী। একা একাই জঙ্গলে চলে যান। দুএকবার গলায় দড়ি দিতেও চেষ্টা করেছেন। যা অবস্থা তাতে যেকোনোদিন আমরা পরিবার সুদ্ধ মারা যেতে পারি।”

ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ওই রোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুদীপ চক্রবর্তী এদিন জানান, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কেন ওই রোগী চিকিত্‍সা পাননি তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি দ্রুত যাতে ওই ব্যক্তি চিকিত্‍সা পান তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রসঙ্গত, খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ভোক্তা রোগীকে ফেরাতে পারবে না কোনও হাসপাতাল। রোগীকে ফেরানো হলে বাতিল হতে পারে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স। কিন্তু তারপরেও কেন রোগীকে ফেরানো হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরও পড়ুন: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশদ্বার উত্তরবঙ্গ! দাবি চিকিত্‍সকদের, তথ্য গোপন স্বাস্থ্যদফতরের?