Nairobi fly: উত্তরবঙ্গের নতুন ‘ত্রাস’ নাইরোবি ফ্লাই, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের

West Bengal: স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালেও তিনজন আক্রান্ত এসেছেন চিকিৎসা করাতে। আজ ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মী ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা বাড়ি-বাড়ি যান।

Nairobi fly: উত্তরবঙ্গের নতুন 'ত্রাস' নাইরোবি ফ্লাই, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের
নাইরোবি ফ্লাই (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 5:53 PM

আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে নাইরোবি ফ্লাই আক্রান্তের সংখ্যা। ভূটান সীমান্ত সংলগ্ন জয়গাঁ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এখন অবধি জয়গাঁ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তেরো জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিন তিন-চার জন আসছেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালেও তিনজন আক্রান্ত এসেছেন চিকিৎসা করাতে। আজ ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মী ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা বাড়ি-বাড়ি যান। এলাকা পরিদর্শন করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি জনগণকে সচেতনও করেন।

কালচিনির লতাবাড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার অনুপম সরকার জানান, ‘জয়গাঁতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত স্ব‍াস্থ্য কেন্দ্রে আসছেন আক্রান্তরা। আমরা খবর পাওয়া মাত্র গ্ৰামে-গ্ৰামে পরিদর্শন করছি। জনগণকে সচেতন করছি।’ তিনি জানান, ‘অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এর ওষুধ পর্যাপ্ত আছে।’ তিনি জানান, ‘আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে স্ব‍্যাস্থ কেন্দ্রে যেতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।’

উল্লেখ্য়, শুধু ভূটান সীমান্ত নয়, নাইরোবি ফ্লাই কিংবা অ্যাসিড পোকার হানায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। শহরে হঠাৎই আতঙ্ক বাড়িয়েছে এই পোকা। প্রথমে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোকার থেকে অসুস্থ হয়েছে বেশ কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী। এবার শহর এলাকাতেও মিলছে এই পোকার হদিস। জানা গিয়েছে, ছোট্ট এই পোকা মূলত ঝোপঝাড় ও বিভিন্ন এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই পোকার উপদ্রব অনেকটাই বাড়ে। সন্ধের পর যদি ঘরে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়, তাহলে সেই ঘরে এই পোকার দেখা মেলার সম্ভাবনা বেশি। ওই পোকার শরীরে পিডেরিন নামে অ্যাসিড জাতীয় একটি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এটি মানুষের ত্বকের ক্ষতি করে।

পোকাটি শরীরে বসার পর অনেকেই তা মেরে ফেলে। তখনই শরীরের সংস্পর্শে চলে আসে পিডেরিন। আর তা শরীরে সংস্পর্শে যেতেই ত্বকের উপর লালচে দাগ ও ফুঁসকুড়ি হয়। এরপর সেখান থেকে শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়ে ক্ষত।