Alipurduar: রাস্তা না নদী বোঝা দায়! জল থৈ-থৈ এলাকায় নামল নৌকা, ভয়াবহ পরিস্থিতি আলিপুরদুয়ারে
Alipurduar: আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে দু'টি নৌকা নামান হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে।
আলিপুরদুয়ার: বর্ষার বৃষ্টিতে জেরবার উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গে এখনও পুরোদমে বর্ষা না এলেও প্রবল বর্ষণে জলভাসি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। তোর্সার পর এবার তিস্তা, জলঢাকায় জারি হল হলুদ সতর্কতা। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারের অবস্থাও ভয়াবহ। ইতিমধ্যে রাস্তায় যাতায়াতের জন্য নেমেছে নৌকা।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে দু’টি নৌকা নামানো হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। প্রায় চারশো পরিবারকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গোটা এলাকা জলে থৈ-থৈ করছে। কালজানি নদীতে বাঁধের জল মিশে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে।
ইতিমধ্যে পুরসভা বিকল্প ত্রাণ শিবির চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও, বহু মানুষ নিজস্ব সম্বল নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ তা স্বীকার করেছে খোদ পুরসভার কাউন্সিলর। যদিও এই বাঁধ অস্থায়ী। তাঁবু খাঁটিয়ে লোকজন থাকলেও কোনওরূপ ত্রাণ এখনও মেলেনি বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। ফলত ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের মধ্যে।
এদিকে, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের চর এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। কোথাও কোমর, কোথায় গলা জল। লোকজনকে ইতিমধ্যে বাঁধে নিয়ে আসা হয়েছে। কালজানি নদীতে লাল সংকেত জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুরসভা জলবন্দি মানুষজনের জন্য কোনও ড্রাই ফুডের ব্যবস্থা করেনি। তারপর আবার পানীয় জলের সংকট। সেই কারণে আরও ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে। এর মধ্যে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এখানে। জলে-জলাকার এলাকা। নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও আসেনি। বাঁধ ভেঙে নদীর জল ঢুকেছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ (মিলিমিটারে)
১) জলপাইগুড়ি- ৭২.৯০
২) আলিপুরদুয়ার – ১০২.৪০
৩) কোচবিহার – ৫২.২০
৪) শিলিগুড়ি -৯০.০০
৫) মাল-২৮.৫০
৬) হাসিমারা-২৩১.০০
৭) বানারহাট – ৮৬.০০
৮) মাথাভাঙা – ৬৭.২০
৯) তুফানগঞ্জ – ১২.২০
১০) ময়নাগুড়ি -১২৫.০০