
আসানসোল: গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের বাপের বাড়ির লোকজনের। মৃতের নাম পাপিয়া গোপ (২৫)। বাপের বাড়ি বারাবনির গৌরন্ডি এলাকায়। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চরম উত্তেজনা রানিগঞ্জে। খবর পেয়ে উত্তেজিত শ্বশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওই বধূর পরিবারের সদস্যরা। আসানসোলের রানিগঞ্জের নিমচার আমকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে রবিবার।
অভিযোগ, স্বামী পার্থ গোপ সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা প্রায়ই পাপিয়াকে অত্যাচার করতো। পাপিয়াকে বাপের বাড়ি থেকে অনবরত টাকা আনতে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত। কয়েকদিন আগে এক লক্ষ টাকা আনতে চাপ তৈরি করে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, গৃহবধূ পাপিয়াকে খুন করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামে গিয়ে ভাঙচুর চালায় বাপের বাড়ির সদস্যরা।
একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা অর্থাৎ পার্থ গোপের বাড়ির লোকজন পলাতক। সেই বাড়িতে লাঠি হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন একদল যুবক। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। মৃত গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ওই দম্পতির এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃতা মা রেখা গোপ বলেন, “আমরা যখন এসে দেখি, ততক্ষণে সব শেষ। আমার মেয়েটাকে শেষ করে দিল ওরা। ওদের শাস্তি চাই।”
মৃতের শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী পাঁচু গোপ বলেন, “দোষীর সাজা হোক। কিন্তু হঠাৎ দেখি বাইরের লোক এসে ওই বাড়িতে ভাঙচুর করে গেল, এটা তো ঠিক নই। আমরা যারা রুখে এসে দাঁড়াই, বলে ওদেরও মারো, এটা তো ঠিক নয়। বন্দুক নিয়ে এসেছিল অনেকে।”