‘ওকে দ’এ টেনে নিয়েছে…’ বিয়েবাড়িতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরের!

Accident: গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত ছাত্র সায়নদীপ বিট  পড়াশোনার জন্য দুর্গাপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকত। কিছুদিন আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সে।

'ওকে দ'এ টেনে নিয়েছে...' বিয়েবাড়িতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরের!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 9:14 PM

বাঁকুড়া: নিম্নচাপের জেরে ফুঁঁসছে দারকেশ্বর। সেই দারকেশ্বরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক বছর ষোলর কিশোর। দুর্গাপুরের বাসিন্দা সেই কিশোর বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে কেঞ্জাকুড়ায় এসেছিল। বুধবার বিকেলে সেখানেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ওই নাবালকের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার হয়।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত ছাত্র সায়নদীপ বিট  পড়াশোনার জন্য দুর্গাপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকত। কিছুদিন আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সে। বুধবার বিকেলে, ওই কিশোর তার বন্ধুদের সঙ্গে দ্বারকেশ্বরে স্নান করতে আসে। খুব ভাল সাঁতার জানত না সায়নদীপ। ফলে, নদীর জলস্তর বাড়তেই আর টাল সামলাতে না পেরে বন্ধুদের চোখের সামনে জলে ডুবে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার বন্ধুরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরাও। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাতেও। কিন্তু পুলিশ এসে পৌঁছলেও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরা আসতে পারেননি। ফলে প্রায় একদিন কেটে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনের ‘গা-ছাড়া’ মনোভাবের জন্যই ওই কিশোরের মৃত্য়ু হয়েছে।

স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কথায়, “ও আমাদের গ্রামেরই ছেলে ছিল। দুর্গাপুরে থেকে পড়াশোনা করত। সেদিন বিয়েবাড়ির জন্য এসেছিল। বোধহয় সাঁতার জানত না। দারকেশ্বরেশ এমনিই জল বেশি। ছোট ছেলে, বোঝেনি। জলে নামতেই দ’এ টেনে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশকে খবর দিতে একে তো দেরিতে এল। তারপর এসে দাঁড়িয়ে থাকল। কোনও কিছু করল না। সময়ে  ডুবুরি জলে নামালে হয়ত ছেলেটা বেঁচে যেত।”

বাঁকুড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দারকেশ্বরে জলের স্রোত অত্যধিক বেশি থাকায় মৃতদেহে উদ্ধারে লাগাতার কসরত করতে হয়েছে বলেই জানিয়েছেন এত পুলিশ অধিকর্তা। কিশোরের জলে ডুবে মৃত্য়ুর খবর পেয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর জানা। আরও পড়ুন: মৃতরা কাজও করছেন, মিলছে ‘১০০ দিনের কাজের’ টাকাও!