Bankura: ভাত খেতে বসে অশান্তি! স্ত্রী বিষ খেতেই বাঁশবাগানে গিয়ে গলায় দড়ি স্বামীর
Bankura: ভিন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার কাঁকড়াশাল গ্রামের বছর সাঁইত্রিশের বাসিন্দা বিমল সাঁতরা। কিছুদিন আগে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি।
বাঁকুড়া: পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার (Suicide) ঘটনার কথা প্রায়শই শোনা যায় রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে। এদিকে এবার দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করতেই আত্মঘাতী হলেন স্বামী। এ খবরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়ের থানার কাঁকড়াশাল গ্রামে। তবে স্বামীর মৃত্যু হলেও বর্তমানে সুস্থই রয়েছেন স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভিন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার কাঁকড়াশাল গ্রামের বছর সাঁইত্রিশের বাসিন্দা বিমল সাঁতরা। কিছুদিন আগে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর লাগাতার অশান্তি লেগে থাকত বলে খবর। সম্প্রতি চরমে ওঠে দাম্পত্য কলহ। দিন কয়েক আগে তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধরেরও অভিযোগ শোনা যায়। পাল্টা বিমলকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এদিকে তারপরেও শনিবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের ঝগড়া বাঁধে বলে জানা যায়। এরপরই আগাছানাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্ত্রী ঝুমা সাঁতরা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে স্ত্রী বিষ খেতেই গা ঢাকা দেন বিমল। স্থানীয়দের দাবি ঝুমার মৃত্যু হলে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করতে পারে এই আশঙ্কাতেই বাড়ি ছাড়েন বিমল। পরবর্তীতে বাড়ির অদূরে একটি বাঁশ ঝাড়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার লোকজন। তারপরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এ প্রসঙ্গে বিমলের জামাইবাবু নেপাল সাঁতরা বলেন, “বিমল বাইরে ছিল। দিন কুড়ি আগে বাড়ি ফিরতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়। তারপর ঝুমার বাপের বাড়ির লোকজন ওকে মারধর করে। গতকাল দুপুরেও ভাত খেতে বসে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। তখনই ঝুমা ঘাস মারা ওষুধ খেয়ে নেয়। তখনই ছুটে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বিমল। রাতে আমরা চারদিকে খোঁজাখুঁজি করলেও খোঁজ মেলেনি। পরে দেখি গভীর রাতে এসে বাঁশ গাছে গলায় দড়ি দিয়ে দিয়েছে।” অন্যদিকে বিমলের স্ত্রী ঝুমা সাঁতরা বলেন, “স্বামীর সঙ্গে কয়েকদিন ধরেই ঝগড়া হচ্ছিল। আমার শাশুড়িও ঝগড়া করত। মারধরও করত। সেই কারণেই আমি বিষ খেয়েছিলাম। তবে আমার স্বামীকে আমার বাড়ির লোকজন মারধর করেনি। আমার গায়ে হাত দেওয়ায় বকাঝকা করেছিল।”