Krishna temple: সাত বছর আগে ঘটেছিল, ফের কৃষ্ণমন্দিরে একই ঘটনা চাক্ষুস করলেন সেবাইতরা
Bankura: ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার রাইপুরের কৃষ্ণমন্দির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় বছর সাতেক আগে বাঁকুড়ার রাইপুরে কৃষ্ণ মন্দিরে একবার চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
বাঁকুড়া: রাত্রিবেলা শুনশান হয়ে গিয়েছে রাস্তাঘাট। তবে মন্দিরের (Temple) দরজা তখনও বন্ধ হয়নি। মন্দিরের সেবাইতরা তথনও ভিতরে। সেই সময় ঘটল কাণ্ড। একদল দুষ্কৃতী হানা দিল কৃষ্ণমন্দিরের (Temple) ভিতরে। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে মন্দিরের যাবতীয় গহনা সম্পত্তি লুঠ করে চম্পট দিল তারা।
ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার রাইপুরের কৃষ্ণমন্দির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় বছর সাতেক আগে বাঁকুড়ার রাইপুরে কৃষ্ণ মন্দিরে একবার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় চোররা ধরা পড়লেও খোয়া যাওয়া সামগ্রী এখনো উদ্ধার হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার রাত্রিবেলা একদল দুষ্কৃতী ফের হানা দেয় ওই মন্দিরে। অভিযোগ, মন্দিরের সেবাইতদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। তারপর মন্দিরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। এরপর বিগ্রহ থেকে শুরু করে যাবতীয় সোনা ও রুপোর অলঙ্কার ও প্রণামী বাক্সর ভিতরে ভরে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি প্রণামি বাক্সে থাকা নগদ টাকা নিয়েও চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা।
মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবী সব মিলিয়ে খোয়া যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। ঘটনার খবর পেয়ে মন্দিরে যায় স্থানীয় রাইপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এক সেবাইত বলেন, “মানত করেছি বলে কেউ নাম ধরে ডাকছিল। বারবার ডাকতে থাকে। তখন রাত্রি ১টা বাজে। এরপর জানলা খুলে আমাদের ডাকে। পরে আমরা দরজা খুলতেই আমাদের বেঁধে রাখএ মন্দিরের বিগ্রহ, সোনার গহনা, টাকা, সমস্ত কিছু লুট করে নিয়ে গিয়েছে। সাত বছর আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখনও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল কাজ হয়ে যাবে কিন্তু কিছু কাজ হয়নি। ফের চুরি হল।”