
ইন্দপুর: প্রকাশ্য সভা থেকে বিজেপি বিধায়ককে উলঙ্গ করে দৌড় করানোর হুঁশিয়ারি! বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে সোজা বিতর্কের মঞ্চে তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লকের সভাপতি রেজাউল খাঁ। চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবিরও। নেতাদের সাফ কথা, বিজয়া সম্মিলনী কার্যত হুমকি সম্মেলনে পরিণত হয়েছে। তরজা ক্রমেই বাড়ছে।
পুজো শেষ হতেই দলীয় নির্দেশেই গোটা রাজ্যেই ব্লকে ব্লকে হচ্ছে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান। বাঁকুড়ার শুশুনিয়ায় এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছাতনা ব্লকের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ইন্দপুর ব্লকের সভাপতি রেজাউল খাঁ-র নিশানায় ছাতনার বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্য়ায়। রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “ছাতনার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে রোগীরা বিধায়কের শংসাপত্র পায় না। এখন বিধায়ক সেলফি তুলতে এলাকায় গেলে বিধায়ক জেনে রাখুন আপনার জন্য ডান্ডাতে তেল লাগানো আছে।” এরপরই আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “আমাকে বিধায়ক জেহাদি বলেছেন। আব্দুল কালাম, শাহরুখ খান, আমির খানকে আপনি জেহাদি বলতে পারবেন? দম আছে। হিম্মত নেই আপনার। আমাদের মতো মুসলিম ছেলে যারা সমাজ গড়তে নেমেছে, মানুষকে নিয়ে চলতে ও তাঁদের পাশে দাঁড়াতে শিখেছে তাদের জেহাদি বললে আপনার কপালে অনেক দুঃখ আছে। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন আপনাকে গনতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে উলঙ্গ করে দৌড় করাব”।
পাল্টা তোপ দাগছে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা কটাক্ষবাণ শানিয়ে বলছেন, “বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী কার্যত হুমকি সম্মেলনীতে পরিণত হয়েছে। দেখা যাক ২০২৬ সালের নির্বাচনের পরে জনগণ কাকে উলঙ্গ করে দৌড় করায়।” এদিকে ভোটের এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। তার আগেই বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে এসআইর নিয়েও গরমাগরম মন্তব্য করছেন শাসক শিবিরের নেতারা। অন্যদিকে তুলোধনা করছেন পদ্ম নেতারা। সব মিলিয়ে ভোটের আগেই তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির মাটি।