Bankura: অকথ্য গালিগালাজ, প্রতিবাদ করায় কিশোরকে কুড়ুলের কোপ ‘কাকা’র…
Bankura News: রঙ্গলালের স্ত্রীর দাবি, বাড়ির লোকেরা চন্দনকে থামাতে গেলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই গরম হচ্ছে দেখে বেরিয়ে আসে স্বাধীনও।
বাঁকুড়া: পারিবারিক বিবাদের জেরে আত্মীয়ের কুড়ুলের আঘাতে রক্তারক্তি কাণ্ড। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল এক স্কুল পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার শ্রীচন্দনপুর গ্রামে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম স্বাধীন পাতরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাধীনের মায়ের কথায়, রক্তের সম্পর্ক। অথচ ঘরোয়া বিবাদের জেরে এভাবে একটা বাচ্চার উপর হামলা করতে পারে, ভাবাই যায় না। একইসঙ্গে স্বাধীনের পরিবার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তাদের দাবি, আগাম থানায় ফোন করলেও গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। ঘটনার পর গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ অভিযুক্ত চন্দন পাতরকে আটক করে। যদিও এ নিয়ে অভিযুক্তের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের কেউ কথা বলতে নারাজ।
শ্রীচন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা রঙ্গলাল পাতর। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে অনেকদিন ধরেই খুড়তুতো ভাই চন্দন পাতরের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ঝামেলা চরমে ওঠে। চন্দন পাতর মদ্যপ অবস্থায় রঙ্গলালদের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে অকথ্য ভাষায়া গালিগালাজ করতে থাকেন বলে অভিযোগ। রঙ্গলালের ছেলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র স্বাধীন সে সময় ঘরে পড়াশোনা করছিল।
রঙ্গলালের স্ত্রীর দাবি, বাড়ির লোকেরা চন্দনকে থামাতে গেলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই গরম হচ্ছে দেখে বেরিয়ে আসে স্বাধীনও। আটকায় বাবা-কাকাকে। সে সময় চন্দন ছুটে ঢুকে যান। রঙ্গলালের পরিবারের দাবি, তখনও তাঁরা ভাবতে পারেননি এত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। তাঁরা বাড়ির দিকে হাঁটা লাগাতেই আচমকা চন্দন স্বাধীনের উপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। জখম স্বাধীনকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে।
স্বাধীনের মা চন্দনা পাতরের কথায়, “ঘরে ছেলেটা পড়ছে, অথচ বাইরে এমন খারাপ খারাপ কথা বলছে, সহ্য করা যাচ্ছে না। তাও আমি ছেলেকে বললাম দরজা বন্ধ করে পড়াশোনা কর। ওদিকে কান দিস না। এরপর একজন ওকে বলতে যায়, এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করিস না। বাজে লাগছে ঘরে বাচ্চারা আছে। তাতেই হাতাহাতি শুরু হয়। এরপরই আমার ছেলে ছুটে বেরিয়ে যায়। ও হাতাহাতি আটকাতে গেলে দৌড়ে ঘরে ঢুকে যায় আমার খুড়শ্বশুরের ছেলে চন্দন। আমরা ভাবতেও পারিনি ও এমন কাজ করতে পারে। আমরা চলে আসছিলাম, হঠাৎই ও ঘর থেকে কুড়ুল নিয়ে ছুটে আসে। ছেলেটার মাথায় মারতে গেছিল। পারেনি, পিঠে মেরেছে। প্রাণে মারারই চেষ্টা করেছিল। বাজে কথা বলছে, তখনই থানায় জানাই। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনার পরও জানাতে গেলে বলে আগে হাসপাতালে নিয়ে যান।”