মেঝেতে জমাট বাঁধা রক্ত, ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাড়ির চার মহিলা সদস্যের দেহ, পাশের ঘরে ঝুলছেন কর্তা!

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ঘরে ঢুকতেই পড়ে রয়েছে বৃদ্ধ মায়ের দেহ। মাথায় দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। কয়েক পা এগোতেই শোওয়ার ঘরে পড়ে রয়েছে আরও তিনটি দেহ। এক মধ্য বয়স্ক মহিলা, আর দুটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে। মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত জমাট বেঁধে কালচে হয়েছে। প্রত্যেকের আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট বলছে, মাথায় একই ধরনের ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা […]

মেঝেতে জমাট বাঁধা রক্ত, ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাড়ির চার মহিলা সদস্যের দেহ, পাশের ঘরে ঝুলছেন কর্তা!
মেঝেতে জমাট বাঁধা রক্ত, ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাড়ির চার মহিলা সদস্যের দেহ, পাশের ঘরে ঝুলছেন কর্তা!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2020 | 12:18 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ঘরে ঢুকতেই পড়ে রয়েছে বৃদ্ধ মায়ের দেহ। মাথায় দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। কয়েক পা এগোতেই শোওয়ার ঘরে পড়ে রয়েছে আরও তিনটি দেহ। এক মধ্য বয়স্ক মহিলা, আর দুটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে। মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত জমাট বেঁধে কালচে হয়েছে। প্রত্যেকের আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট বলছে, মাথায় একই ধরনের ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তখনও পর্যন্ত প্রতিবেশীরা ভাবছিলেন বিষয়টি কোনও দুষ্কৃতীর কাজ। কিন্তু পাশের ঘরে গিয়েই দেখা গেল কড়িকাঠে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন পরিবারের কর্তাও। তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হল তাঁদের কাছে। এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) জামালপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

দিনে যা আয় হত তা ফুরিয়ে যেত সংসারের চাল নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনেই। সেই সংসারেই থাবাৃ বসিয়েছিল মারণ রোগ। কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনুপ বর্মন। চাষ করে যা ঘরে আনতেন,তাতেই পেট চলত পাঁচ জনের সংসারে। কিন্তু কিছুদিন আগেই তিনি জানতে পারেন শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার।

তখনই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। চিকিত্সার জন্য ধার করে চেন্নাই থেকে ঘুরেও আসেন তিনি। জানতে পারেন, রোগ প্রবেশ করেছে শরীরের অনেক গভীরে। কীভাবে চলবে সংসার, কীভাবে পেট ভরাবেন বাড়ির সদস্যদের, আর কীভাবে করবেন নিজের চিকিত্সা- সব চিন্তাতেই দিনের পর দিন অবসাদে ডুবতে থাকেন তিনি। সেকথা পাড়া প্রতিবেশীদের অনেকেই জানতেন। কিন্তু তিনি যে এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তা ভাবতেও পারেননি কেউ।

নিজের দুই মেয়ে, স্ত্রী ও মাকে ধারালো বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেন অনুপ। তারপর নিজে পাশের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিস দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গোটা গ্রাম স্বাভাবিকভাবেই স্তব্ধ।