Berhampore Murder: সুতপা খুনে নড়েচড়ে বসল বহরমপুর পৌরসভা, এই নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা মেস মালিকদের বিরুদ্ধে
বহরমপুর: ভর সন্ধ্যায় মেস বাড়ির সামনে নারকীয় খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বহরমপুর পৌরসভা (Berhampore Municipality)। সুতপা খুনের ঘটনার পর মেস বাড়ি এবং ভাড়াবাড়ির তথ্য সংগ্রহের কাজে বিশেষ জোর দেওয়া শুরু করলেন বহরমপুর পৌরসভার আধিকারিকেরা। মেস বাড়ি ও ভাড়া বাড়ির তথ্য অনেকেই গোপন করার চেষ্টা করে পৌরসভার কর বাঁচানোর ক্ষেত্রে। এখন থেকে সেই সব তথ্য বিশেষ […]
বহরমপুর: ভর সন্ধ্যায় মেস বাড়ির সামনে নারকীয় খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বহরমপুর পৌরসভা (Berhampore Municipality)। সুতপা খুনের ঘটনার পর মেস বাড়ি এবং ভাড়াবাড়ির তথ্য সংগ্রহের কাজে বিশেষ জোর দেওয়া শুরু করলেন বহরমপুর পৌরসভার আধিকারিকেরা। মেস বাড়ি ও ভাড়া বাড়ির তথ্য অনেকেই গোপন করার চেষ্টা করে পৌরসভার কর বাঁচানোর ক্ষেত্রে। এখন থেকে সেই সব তথ্য বিশেষ ভাবে যাচাই করা হবে বলে পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বহরমপুর পৌরসভার ২৩ থেকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডেই সব থেকে বেশি মেস বাড়ি রয়েছে।
পড়াশোনার সুবিধার্থে বেশিরভাগ পড়ুয়ারাই এই এলাকাগুলিতে ভাড়া থাকেন। তাই বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হবে এই ওয়ার্ডগুলিতে। পাশাপাশি গোটা পৌর এলাকাতেই সমানতালে চলবে নজরদারি। বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়ার তথ্য সবই বিশদে থাকবে পৌরসভার কাছে। ওয়ার্ড ভিত্তিক পৌর অফিস থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একইসঙ্গে এই বিষয়ে কড়া নজরদারির জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক ভাবে বিশেষ কমিটি তৈরি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে পৌরসভার তরফে। যাদের কাঁধেই সমস্ত বেসরকারি মেস বাড়িগুলির উপর মূল নজরদারির দায়িত্ব থাকবে। যদিও কোনও ব্যক্তি মেস বাড়ি ও ভাড়া বাড়ির তথ্য গোপন করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ু গোপাল মুখার্জি বলেন, “বহরমপুরে বিভিন্ন কলেজ থাকায় দীর্ঘদিন থেকেই এথানে পড়ুয়াদের মেসবাড়িতে থাকার চল রয়েছে। রাজ্যের বাইরে থেকেও বহু পড়ুয়া এখানের মেসবাড়িতে থাকেন। অন্যান্য জেলার থেকে এখানকার কলেজের পড়ুয়ারা অনেক ভালো ফল করাতে বাইরে থেকে এখানে পড়তে আসার প্রবণতাও অনেকটাই বেড়েছে। তবে, গোটা পৌর এলাকার ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ওয়ার্ডে সবথেকে বেশি মেসবাড়ি রয়েছে। গোটা পৌর এলাকায় যদি দেড় থেকে ২ হাজার মেসবাড়ি থাকে তার মধ্যে এই এলাকাগুলিতেই প্রায় ৪০ শতাংশ মেস রয়েছে। আমরা মেসগুলির সামগ্রিক পরিস্থিতি, আবাসিকের সংখ্যা ইত্যাদি জানার জন্য প্রায়শই নজরদারি চালাই। এমনকী পৌরসভার ফর্ম রয়েছে। ওই ফর্মেই মেসের যাবতীয় তথ্য জানিয়ে পৌরসভায় জমা করেন মেস মালিকেরা। কিন্তু কর ফাঁকির জন্য অনেক মেস মালিকই প্রায়শই সেখানে নানা কারচুপি করে থাকেন। এই বিষয়েই বর্তমানে আমরা কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছি”।