AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rampurhat: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর, ব্যাপক শোরগোল রামপুরহাটে

TMC Leader: তরুণীর অভিযোগ, ২০১৫ সালে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়েই ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নাম তোলার জন্য তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন অভিযুক্ত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একাধিকবার তাঁদের নিজের বাড়িতেও ডাকেন। তখনই ঘটে এ ঘটনা।

Rampurhat: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর, ব্যাপক শোরগোল রামপুরহাটে
ব্য়াপক চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2025 | 3:48 PM
Share

রামপুরহাট: স্ত্রী থাকার পরেও নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি। তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। গর্ভবতীও হয়ে পড়েন তরুণী। জন্ম দেন সন্তানের। কিন্তু মুখ খুললেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রামপুরহাটের তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। তাতেই জোর শোরগোল এলাকার রাজনৈতিক মহলে। একবার নয়, ওই নেতা দু’বারের কাউন্সিলর বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে দলের পদেও রয়েছে। 

ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। অভিযুক্ত আবার এক বিধায়ক ও রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানা যাচ্ছে। তাই যেন গোটা ঘটনায় এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। কিন্তু কোথা থেকে ঘটনার সূত্রপাত? 

তরুণীর অভিযোগ, ২০১৫ সালে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়েই ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নাম তোলার জন্য তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন অভিযুক্ত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একাধিকবার তাঁদের নিজের বাড়িতেও ডাকেন। আর তখনই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে তিনি গর্ভবতীও হয়ে পড়েন। বিয়ের কথাও বলেন কাউন্সিলরকে। অভিযোগ, সব শুনেও বিয়ে করতে নারাজ ছিলেন ওই দাপুটে তৃণমূল নেতা। এরইমধ্যে এক সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত এবার তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে অভিযোগ দায়ের হলেও অভিযুক্তকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর। 

নির্যাতিতা বলছেন, “২০২০ সালে আমি জানতে পারি উনি বিবাহিত। জানতে পারি ওর একটা ছেলেও রয়েছে। আমি প্রতিবাদ করলে বলে আমার ক্ষমতা আছে। আমি তোকে ব্যবহার করব। এরমধ্যে মা-বাবার মুখ রক্ষার্থে আমি একটা বিয়ে করি। কিন্তু তারপরেও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলতে থাকে। এর মধ্যে আমার গর্ভে একটা সন্তান আসে। আমার স্বামীও জানতে পারে ব্যাপারটা। ফলে স্বামীও আমার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চায়নি। বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে। এখন আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। দেখি কী হয়।”  

বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলছেন, “উনি তো বিধায়কের খুব কাছের লোক। কাছের লোক বলে দল তাঁকে আবার দলের বড় দায়িত্বও দিয়েছে। আসলে তৃণমূল ধর্ষকদের দল। বীরভূম পুলিশ ও প্রশাসনকে মেরুদণ্ড সোজা করে ন্য়ায় প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানাব। আগামীতে আমরা রাজপথে নামব, ওই মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম আইনি সহায়তা দেব।”