Attempt to murder: দিদিকে কেন ডিভোর্স দিচ্ছেন না? ঘুমন্ত অবস্থায় জামাইবাবুর গলায় ভোজালির কোপ শালার
Attempt to murder: পরিবারের দাবি, আগেও একাধিকবার মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এভাবে খুনের চেষ্টা হবে তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি।
বীরভূম: দিদিকে ডিভোর্স না দেওয়ায় জামাইবাবুর গলায় ভোজালির কোপ মারলেন শ্যালক। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন জামাইবাবু কৃষ্ণ কর্মকার। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটে। জানা গিয়েছে, বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় ৪-৫ জন মিলে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁর শ্যালকই ওই সব লোকজনকে নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি পরিবারের। কৃষ্ণ কর্মকার নামে ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কৃষ্ণের শ্যালক বিশালের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ। তাঁকে ধরে ফেলে স্থানীয়রাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ কর্মকারের সঙ্গে বছর কয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল বিশালের দিদির। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিশালের পরিবার বেশ কিছু ডিভোর্স চাইছিল। কিন্তু তাতে কৃষ্ণকান্ত রাজি হচ্ছিলেন না। তাঁর দাবি ছিল, স্ত্রী-সন্তানকে ছেড়ে তিনি যাবেন না। আর তার জেরেই চলছিল বিবাদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন কৃষ্ণ কর্মকার। সেই সময় বিশাল ৫-৭ জন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান বলে অভিযোগ কৃষ্ণের পরিবারের। কৃষ্ণের এক আত্মীয়া জানিয়েছে, তাঁরা প্রশ্ন করলে বিশাল জানান, তিনি কৃষ্ণকে বোঝাতে এসেছেন। এরপরই ভিতর থেকে চিৎকার শোনা যায়।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তাঁরা গিয়ে শ্যালককে দেখতে পান। আর দেখেন কৃষ্ণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। বিশাল ও তাঁর সঙ্গীদের পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকার মানুষজন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।