Bagtui Massacre: ‘আনারুলের নির্দেশেই ৫ লিটার তেলে জ্বালানো হয়েছিল বাড়ি’, সিবিআই-এর চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য

Bagtui Massacre: সিবিআই-এর চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, আরও বিস্ফোরক তথ্য। ঘটনার রাতে গ্রামবাসীদের তরফে থানায় ফোন করা হয়েছিল। ফোন করা হয়েছিল আনারুলকেও।

Bagtui Massacre: 'আনারুলের নির্দেশেই ৫ লিটার তেলে জ্বালানো হয়েছিল বাড়ি', সিবিআই-এর চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য
বগটুই মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 1:20 PM

বীরভূম: ২১ মার্চ রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? আরও বিস্ফোরক তথ্য উল্লেখ সিবিআই-এর চার্জশিটে। সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, রামপুরহাট মুনসুবা মোড়ে একটি পেট্রোল পাম্প থেকে ৫ লিটার পেট্রোল কিনেছিল ভাদু শেখের অনুগামীরা। তারপর তারা গ্রামে ঢুকে একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। সোনা শেখ-সহ বাকিদের বাড়িতে আগুন ধরায় তারা। ভাদু খুনের পরেই হাসপাতালে বদলা নেওয়ার উস্কানি দেয় আনারুল। সেই আনারুলের নির্দেশেই পেট্রোল কিনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

প্রথম থেকেই এই ঘটনায় আনারুল হোসেনকেই মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই। তাদের কথায়, ‘আনারুলই বগুটুই গণহত্যার মূল কারিগর।’ আনারুলের উস্কানিতেই গ্রামে গণগত্যার মতো ঘটনা ঘটেছিল। সিবিআই-এর বক্তব্য, ভাদু শেখ খুনের পর আনারুলই রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতাকে উস্কে দিয়েছিল। সেই উস্কানির পরেই বোমা-লাঠি, পেট্রোল নিয়ে গ্রামের দিকে যায় উন্মত্ত জনতা। চলে ভাঙচুর, আগুন লাগানো।

সিবিআই-এর চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, আরও বিস্ফোরক তথ্য। ঘটনার রাতে গ্রামবাসীদের তরফে থানায় ফোন করা হয়েছিল। ফোন করা হয়েছিল আনারুলকেও। জানানো হয়েছিল, বাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছে। বোমা মারা হচ্ছে। আনারুল নাকি তখন বলেছিলেন, “আমরা ভাদু শেখ খুনের প্রতিশোধ নিচ্ছি। ওরা মেরেছে। কিছু করতে হবে না। পুলিশও যাবে না।” এই গোটা কথোপকথনের বিষয়টিও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

আক্রান্ত সোনা শেখের বাড়ি থেকেও রাতে পুলিশের কাছে ফোন করা হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআই-এর হাতে তথ্য এসেছে, রামপুরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর রমেশ সাহাকে ২১ মার্চ রাতে সোনা শেখের বাড়ি থেকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। একবার ফোন ধরেন রমেশ। ২৩ সেকেন্ড কথা হয়। সিবিআই চার্জশিটে এটাও উল্লেখ করেছে, ফোন পেয়ে দমকল রাতে এসেছিল। প্রসঙ্গত, আনারুলের বিরদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন একটি ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা যুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে।  অপরাধ সংগঠিত করার পিছনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনারুলের বিরুদ্ধে।