Birbhum Fraud Case: ‘প্রধানমন্ত্রী টাকা পাঠাচ্ছেন…’ ফোনটা এসেছিল বাবার মোবাইলে, নাবালকের সারল্যে জীবনের পুঁজি খোয়ালেন ব্যবসায়ী
Birbhum Fraud Case: এইভাবে ফোনের ওপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে বাবার অ্যাকাউন্ট নম্বর, আর ফোনে আসা ওটিপি সবই বলে দেয়।
বীরভূম: ফোনটা তখন ছিল ছেলের কাছে। ছেলের বয়স খুব বেশি হলে চোদ্দ। ওত জটিলতা বোঝেনি সি। ‘প্রধানমন্ত্রী টাকা পাঠাচ্ছেন…’ অজানা একটা নম্বর ফোনটা আসা মাত্রই আশার আলো দেখেছিল বাচ্চাটা। বাড়ির লোককে প্রথমে কিছুই জানায়নি। ভেবেছিল, টাকা ঢুকলে বাড়ির লোককে চমকে দেবে। এইভাবে ফোনের ওপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে বাবার অ্যাকাউন্ট নম্বর, আর ফোনে আসা ওটিপি সবই বলে দেয়। ব্যস, তারপরই বিপর্যয়। বাবার অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় চার লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোলের কেনান গ্রামে।
প্রধানমন্ত্রীর নাম করে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বীরভূমের খয়রাশোল থানার উপর কেনান গ্রামের উজ্জ্বল মন্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছে ফোন আসে। সেই সময় ফোনটি নাবালক ছেলের কাছে ছিল। অভিযোগ, প্রতারক ওই নাবালকের সঙ্গেই কথা বলতে থাকেন। তার কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়। ওটিপি পাঠানো হয়।
প্রতারিতের বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ওটিপি চাওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বরও নেওয়া হয়। দ্বিতীয়বারও ওটিপি দিয়ে দেয় ওই নাবালক। এইভাবে পরপর দুটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ব্যক্তির প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাবাকে সবটা খুলে বলে ছেলে। বিষয়টি জানতে পেরে তারা প্রথমে খয়রাশোল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সিউড়ি সাইবার সেল পুলিশ স্টেশনে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় এক ধাক্কায় অ্যাকাউন্ট থেকে এত টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উজ্জল হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁর কথায়, “সংসার চালিয়ে অনেক কষ্ট করে টাকা জমাচ্ছিলাম। সবটা চলে গিয়েছি। পুলিশকে জানিয়েছি সবটা। জানি না আদৌ টাকা ফেরত পাব কিনা।”