Anubrata Mandal: বুধবারই অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই: সূত্র

Anubrata Mandal: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে জেরা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

Anubrata Mandal: বুধবারই অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই: সূত্র
অনুব্রত মণ্ডল (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 7:45 PM

কলকাতা : গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই সিবিআই-এর একটি টিম সুকন্যার মুখোমুখি হতে পারে। সুকন্যার পাশাপাশি অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসাব-রক্ষক বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর। সুকন্যার নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। সেই টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চায় সিবিআই।

সূত্রের খবর, চিনার পার্কে অনুব্রত মণ্ডলের ফ্ল্য়াটে গিয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে সুকন্যা বোলপুর থেকে কলকাতার দিকে রওনা হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর সম্পত্তির উৎস জানতে তৎপর হয়েছে সিবিআই। গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রতর কী যোগ আছে, তা জানতে সম্পত্তির হিসেব জানা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই তদন্তেই দেখা গিয়েছে, অনুব্রতর একমাত্র মেয়ে সুকন্যার নামে রয়েছে একাধিক সম্পত্তি। সেই তথ্য হাতে আসার পর থেকেই সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা ছিল সিবিআই-এর।

TV9 বাংলার হাতে যা তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দুটি সংস্থার ডিরেক্টর। তাঁর নামে কেনা একাধিক জমিও রয়েছে। ২০২১ সালে ৬ টি আলাদা জমি কেনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি তদন্তকারীদের নজর রয়েছে সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও। বাবার সঙ্গে কতগুলি অ্যাকাউন্টে সুকন্যার নাম রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গরু পাচারের টাকা সে সব অ্যাকাউন্টে আসত কি না, খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।

অনুব্রতর আগেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও গরু পাচার-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক। তাঁদের জেরা করে যে সব তথ্য উঠে এসেছে তাতে অনুব্রতর যোগ পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। চার্জশিটেও সিবিআই সে কথা উল্লেখ করেছে। এবার তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না, সেটাই দেখছেন গোয়েন্দারা।