Birbhum: অসুর নিধনে জয়োল্লাসে মেতেছিলেন দেবতারা! আজও ‘জয়তারা’ উৎসব পালন করে দুবরাজপুর
Birbhum: উৎসবের উৎপত্তি সম্পর্কে কথিত আছে, অসুর বধের পর দেবতারা নিজেদের জয়ে জয়োল্লাস শুরু করেন।
বীরভূম: মহাষ্টমীর সকাল শুরু হয় অঞ্জলি দিয়ে। কত বছরের পুরনো এ রীতি, তা বলা কঠিন। তবে শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে দুবরাজপুর শহরে হয়ে গেল জয়তারা উৎসব। মহাষ্টমী ও মহা নবমীর সন্ধিক্ষণে মহাষ্টমীর বলিদানের পর অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন সেখানকার মানুষ। ব্যতিক্রমী সেই উৎসবের নামই ‘জয়তারা’। এই উৎসবকে ব্যতিক্রমী এই কারণেই বলা হয়ে থাকে, কারণ রাজ্যের অন্য কোথাও এমন উৎসবের প্রচলন প্রায় নেই বললেই চলে।
বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের এই ‘জয়তারা’ উৎসব ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছে তা জানা যায় না। প্রত্যেকেরই উত্তর একটাই, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা বলতে পারেন না এই উৎসব কবে থেকে শুরু হয়েছে’। তাদের এই উত্তরেই উপলব্ধি করা যায় এই উৎসব কয়েক শতাব্দী প্রাচীন।
‘জয়তারা’ উৎসবকে কেন্দ্র করে কচিকাঁচা থেকে বড়রা, প্রত্যেকেই মেতে ওঠেন। প্রতি বছর এই উৎসব দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। দুবরাজপুর শহর ছাড়াও গ্রাম গ্রামান্তর থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন এই উৎসব দেখতে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মহাষ্টমী-মহানবমীর সন্ধিক্ষণে মহাষ্টমীর বলিদান শেষ হওয়ার পর শিশু, কিশোর, যুবক সহ প্রত্যেকেই রাস্তায় বেরোন। হাতে থাকে টাঙ্গি, দা, ঢাল, তরোয়াল, বল্লম, ত্রিশূল এমন নানা অস্ত্র। শোভাযাত্রা করে এক মণ্ডপ থেকে আর এক মণ্ডপে যান তাঁরা।
এই উৎসবের উৎপত্তি সম্পর্কে কথিত আছে, অসুর বধের পর দেবতারা নিজেদের জয়ে জয়োল্লাস শুরু করেন। সেই সময় তাঁরা হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। সেই ঘটনারই প্রতীক হিসেবে বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের প্রতি বছর এমন জয়তারা উৎসব পালন করতে দেখা যায়।