AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Migrant Workers’ Death: উত্তর প্রদেশে খুন বাংলার আদিবাসী পরিযায়ী শ্রমিক, সরব অভিষেকও

Birbhum Migrant Workers' Death: তৃণমূল কংগ্রেসের সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, "পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন বিজেপির ভাড়াটে খুনিদের হাতে আমাদের বাংলার মানুষ নির্যাতিত হলে, তারা হস্তক্ষেপ না করে।" রবিবার রাত দুটো নাগাদ পারুই থানার পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে গোটা বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান।

Migrant Workers' Death:  উত্তর প্রদেশে খুন বাংলার আদিবাসী পরিযায়ী শ্রমিক, সরব অভিষেকও
বাঁ দিকে, পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের আত্মীয়Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2025 | 12:31 PM
Share

বীরভূম:  উত্তর প্রদেশে খুন বীরভূমের বাঙালি আদিবাসী যুবক। যুবকের বাড়ি কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দামোদরপুর গ্রাম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রতীক হেমব্রম। উত্তরপ্রদেশের দিল্লি কানপুর রেললাইনে নির্মমভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ পরিবারের। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। সোমবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সাংসদ সমীরুল ইসলাম এবং অন্যান্য আদিবাসী নেতারা ওই শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান।

তৃণমূল কংগ্রেসের সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, “পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন বিজেপির ভাড়াটে খুনিদের হাতে আমাদের বাংলার মানুষ নির্যাতিত হলে, তারা হস্তক্ষেপ না করে।” রবিবার রাত দুটো নাগাদ পারুই থানার পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে গোটা বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। আধার কার্ড দেখে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন। মৃতের ভাইয়ের স্ত্রী বলেন, “আমরা আলাদা করে কিছুই জানতে পারিনি। পুলিশ রাত দুটোয় এসে ছবি দেখায়। দেখি রেললাইনের ধারে দেহ পড়ে রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে।”

Whatsapp Image 2025 10 27 At 11.31.05 Am

জানা যাচ্ছে, রেললাইনের ধার থেকে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামে কাজ না মেলায় পরিবারের অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করতে কয়েক মাস আগে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন ওই যুবক। পরিবারের দাবি, প্রথম প্রথম রোজই কথা হত দুজনের মধ্যে। কিন্তু তারপর সেভাবে কথা হত না। ওখানে কারোর সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল কিনা, সেটা নিয়েও পরিবারের সদস্যরা স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত, ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা নানাভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছে। মূলত বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্যই তাঁদের  সেখানকার পুলিশ হেনস্থা করত বলে পুলিশ। এই নিয়ে সরব হয় রাজ্যের শাসকদল। সংসদেও ঝড় ওঠে। অসম, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লিতে বাঙালিদের উপর খুব অত্যাচার হচ্ছে বারবার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে এই ইস্যু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ইস্যু বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।