Teacher Recruitment: মাসিক ‘বেতন’ মাত্র দেড় হাজার? শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপ্তি ঘিরে ব্যাপক চাপান-উতর শিক্ষা মহলে
Teacher Recruitment: বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে স্কুলের ভূগোল অনার্স ও শিক্ষা বিজ্ঞানের অস্থায়ী আংশিক সময়ের জন্য যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হবে। চুক্তি ভিত্তিতেই হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই সরগরম বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। চলছে সিবিআই (CBI Investigation) তদন্ত। অন্যদিকে চাকরি পাওয়ার পরেও প্রাথমিক শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন ২৬৯ জন। এখনও আশঙ্কার খাঁড়া ঝুলছে অনেকের উপরেই। এরইমধ্যে এবার বীরভূমের (Birbhum) একটি স্কুলের শিক্ষক ‘নিয়োগর’ নির্দেশিকা ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে চাপান-উতর। সূত্রের খবর, বীরভূমের সাঁইথিয়া জিউই তরঙ্গিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যা নিয়ে নিয়েই বিস্তর চর্চা চলছে শিক্ষা মহলে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে স্কুলের ভূগোল অনার্স ও শিক্ষা বিজ্ঞানের অস্থায়ী আংশিক সময়ের জন্য যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হবে। চুক্তি ভিত্তিতেই হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। মাসিক সাম্মানিক হিসাবে তাঁরা পাবেন পনেরশো টাকা। এ বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই বিতর্কের ঝড় বইছে সঙ্গে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। বিক্ষপ্তিতে রয়েছে স্কুলের সিলমোহর। এভাবে কী নিয়োগ করা আদৌও সম্ভব সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে রাজ্যের একাধিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে যে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে তা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছে নানা ছাত্র সংগঠনও। কিন্তু, তারপরেও বিশেষ বদলায়নি চিত্র। এরই মধ্যে এ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে নানা মহলে।
বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বীরভূমের সাঁইথিয়া জিউই তরঙ্গিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি জ্যোতির্ময় মন্ডল বলেন, ”আমাদের স্কুলে এখন অনেকগুলি শিক্ষকের শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতিতে স্টাফ কাউন্সিল ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিলে যৌথভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিছু শিক্ষানুরাগী ছেলেমেয়েদের সামন্য ভাতা দিয়ে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটাকে বেতন ভাবা ভুল। আমরা চাইছি সামান্য কিছু সাম্মানিকে শিক্ষানুরাগী তরুণ-তরণীরা এগিয়ে আসুন শুধুমাত্র স্কুল ও পড়়ুয়াদের স্বার্থ ভেবে”।
তবে অনেকেই বলছেন বীরভূমের স্কুলের এ বিক্ষপ্তিতই ফের রাজ্য়ের শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ অবস্থাকেই আরও প্রকট করছে। পাশাপাশি সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সে প্রশ্নও উঠছে শিক্ষা মহলে। এমনকী বীরভূমের ওই স্কুলের পনেরশো টাকায় বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার রয়েছে কিনা তা নিয়েও চলছে চাপান-উতর। একদিকে এসএসসি দুর্নীতি অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে এসএসসির পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর সরকারি বিদ্যালয়ে গুলিতে কী তবে অতি অল্প পারিশ্রমিকে শিক্ষক নিয়োগ হবে? এ প্রশ্নও উঠছে নাগরিক মহলে।