Tarapith: মা তারার আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ভক্তের ঢল তারাপীঠে

Birbhum: একমাত্র আজকের দিনেই মা তারাকে মূল গর্ভগৃহ থেকে বের করে এনে বিশ্রাম কক্ষে রাখা হয়।

Tarapith: মা তারার আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ভক্তের ঢল তারাপীঠে
তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার মূর্তি
Follow Us:
| Updated on: Oct 19, 2021 | 11:38 AM

বীরভূম: আজ মা তারার (Tara) আবির্ভাব দিবস। সকাল থেকেই তারাপীঠ মন্দিরে (Tarapith Temple) ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তোড়জোড়।

আবির্ভাব দিবস কী? কথিত আছে আশ্বিনের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে মা তারার আবির্ভাব ঘটে। পাল রাজত্বকালে সওদাগর জয় দত্ত স্বপ্নে মায়ের নির্দেশ পেয়ে তারাপীঠে মায়ের মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠা করেন। শোনা যায়, শশ্মান থেকে তারার মূর্তি এনেছিলেন জয়দত্ত। সেই উপলক্ষে প্রতিবছর চতুদর্শীর দিন তারাপীঠে বিশেষ পুজোর (Puja) আয়োজন করা হয়।

ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছেন শুধুমাত্র আজকের দিনে মা তারার দর্শনের জন্য। অনেকে অপেক্ষা করছেন সন্ধে আরতি দেখার জন্য। আজ তারাপীঠে রয়েছে বিশেষ পুজো। তার জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।

এদিকে আবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিন্তু সমস্ত কিছুই উপেক্ষা করে তারপীঠ মন্দির চত্ত্বরে ভিড় উপচে পড়েছে। তবে ভিড় সামলাতে যথেষ্ঠ তৎপর প্রশাসন। যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দির প্রাঙ্গনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বলা জমায়েত না করতে। যেকোনও ধরমের ভিড় এড়িয়ে চলতে। করোনা বিধি মানার অনুরোধ করা হয়েছে।

হাওড়া থেকে আগত এক পুন্যার্থী জানিয়েছেন, তারা পরশুদিন এসেছেন তারাপীঠে শুধুমাত্র আজকের দিনটির সাক্ষী থাকার জন্য।

একমাত্র আজকের দিনেই মা তারাকে মূল গর্ভগৃহ থেকে বের করে এনে বিশ্রাম কক্ষে রাখা হয়। সন্ধের পর আবাবও তাঁকে গর্ভগৃহে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। আজকে সারাদিন মাকে কোনও অন্নভোগ দেওয়া হয় না। প্রসাদ হিসাবে শুধুমাত্র দেওয়া হয় ফল। পরে বিশ্রাম কক্ষ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ভোগ দেওয়া হয়।

বিশ্রামকক্ষে মা তারাকে সামনে থেকে দর্শন করার জন্য এই সময় লাখো ভক্ত ভিড় জমান। শুধু বাঙলার নয় পাশ্বর্বতী রাজ্য যেমন বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এইখানে।

এদিকে আজ আর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যাবে লক্ষ্মী পুজোর তিথি। তার জন্যও চলছে প্রস্তুতি। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। তার জন্য শুধুমাত্র নিম্নচাপকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। পশ্চীম মেদিনীপুরের চন্দ্রকনার অবস্থাও একই রকম। সেখানকার সবজি,ফল,ফুল বিক্রেতাদের। শুধু ব্যবসায়ী নয়, পুজোর আগে বাজারে ক্রেতার তেমন ভিড় না থাকায় দুঃশ্চিন্তায় পড়ছেন সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সমস্যায় পড়ছেন মৃৎশিল্পীরাও।

সকাল থেকেই এই বাজার চত্বরে থাকা সবজি,ফল থেকে ফুল বিক্রেতাদের দোকানের সামনে ক্রেতাদের সেই ভিড়ের ছবিটা উধাও। কারণ হিসাবে বিক্রেতাদের দাবি,গত এক দু’দিন ধরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় লক্ষ্মী পুজোর আগে কার্যত ফাঁকা চন্দ্রকোনার এই বৃহৎ বাজার চত্বর। বাজারে বিক্রেতাদের সবজি,ফল থেকে ফুল দুই দিন বিক্রি নেই। এইসকল বিক্রেতাদের দাবি,চড়া দামে তাঁরা সবজি,ফল থেকে ফুল সহ পুজোর উপকরণ কিনে এনে বাজারে বসলেও আগের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় নেই।

আরও পড়ুন: Laxmi Puja: কাল হয়েছে নিম্নচাপ! লক্ষ্মীপুজোর আগে ‘লক্ষ্মীলাভ’ না হওয়ায় মুখ ভার ব্যবসায়ীদের