‘সাসপেন্ডের নামে অত্যাচার চালাচ্ছেন!’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রূপার!

Visva Bharati University: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনকি মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর সাসপেন্ড হাওয়া ওই ছাত্রী পাল্টা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্যের কাছে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও ই-মেল মারফত অভিযোগ জানান তিনি।

'সাসপেন্ডের নামে অত্যাচার চালাচ্ছেন!', বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রূপার!
ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী, ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 6:35 PM

শান্তিননিকেতন: এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে পাল্টা চিঠি লিখলেন সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী। একই সঙ্গে শান্তিনিকেতন থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন স্নাতকোত্তর স্তরের ওই ছাত্রী।

রূপা চক্রবর্তী নামে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী তথা বিশ্বভারতীর এসএফআই কর্মী রূপাকে সাসপেনশনের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও সেই নির্দেশে তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১৪ জানুয়ারির। যেদিন বাকি দুই ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। শনিবারই ছাত্রীর বাড়িতে বিশ্বভারতীর তরফে সাসপেনশনের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনকি মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর সাসপেন্ড হাওয়া ওই ছাত্রী পাল্টা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্যের কাছে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও ই-মেল মারফত অভিযোগ জানান তিনি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (MHRD), নব নির্বাচিত কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেও উপাচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন রূপা।

চিঠিতে বিশ্বভারতীর হিন্দী শাস্ত্রীয় ডিপার্টমেন্টের সঙ্গীত ভবনের ছাত্রী রূপার বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছাত্র-ছাত্রীকে সাসপেন্ডের নামে অত্যাচার করছেন। কর্তৃপক্ষকে তার নিজের ছাত্রীদের সম্মান, সুনাম এবং বিনয়ের সুরক্ষা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্বভারতী শুধু চেয়ারের অপব্যবহার করে মহিলা ছাত্রীর মর্যাদা হনন করছে বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি আরও লেখেন, উপাচার্য তাঁকে মাওবাদী তকমা দেওয়ায় এবং সেই খবর নানা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে তিনি সমস্যায় পড়েছেন। এই ‘চরম অপমান’ এবং ‘কলঙ্ক’ নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে বলে বিস্ফোরক দাবি ওই ছাত্রীর। জানান, তাঁর পুরো পরিবার এখন প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনের অভ্যন্তরের রাস্তা ফেরত পেতে ছাতিমতলায় মৌন অবস্থানে বসেছিলেন উপাচার্য। অবস্থানে বসার আগে আবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে রাস্তা ফেরতের আর্জিও জানান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই মৌন অবস্থানের সময় ছাতিমতলার বাইরে চরম ধিক্কার ব্যক্ত করেন পড়ুয়ারা। তাতে শামিল ছিলেন এই রূপা। তার প্রেক্ষিতেই তাঁকে টার্গেট হতে হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি অবস্থানরত রূপার সঙ্গে কথা বলার পর ছাত্রীকে মাওবাদী বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য, এমনই অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে বিশ্বভারতীর প্রোক্টরের জারি করা নির্দেশে অপর দুই ছাত্রের মত রূপার ক্ষেত্রেও যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ তারিখ বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের ঘরটির সিল খুলে দেওয়া হয়। এই কাজে যুক্ত থাকার কারণে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ ওই সিল খোলার ফলে ব্যাহত হচ্ছে তদন্তের কাজ। এছাড়াও অভিযোগ করা হয়, ওই সিল খোলার ফলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পাল্টা অভিযোগ জানালেন ওই ছাত্রী। এদিকে রূপার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্য এবং কর্তৃপক্ষের অন্যান্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া গিয়েছে। আরও পড়ুন: ‘দিদি প্রধানমন্ত্রী হতে দিল্লি গিয়েছেন, তাতেই বন্যা!’ জলে ঢাকা ঘাটাল থেকে কটাক্ষ দিলীপের