Shantiniketan Medical College: ‘কিছু পেতে গেলে, কিছু দিতে হয়’, কাদের দিতে হত গাড়ি? বিস্ফোরক দাবি মলয় পিটের

Shantiniketan Medical College: মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আমলাদের মাঝে মধ্যে গাড়ি দিতে হত বলে দাবি করেছেন শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার।

Shantiniketan Medical College: 'কিছু পেতে গেলে, কিছু দিতে হয়', কাদের দিতে হত গাড়ি? বিস্ফোরক দাবি মলয় পিটের
শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজেও কেষ্ট-যোগ!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2022 | 1:00 PM

বীরভূম : অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কেলেঙ্কারির শিকড় খুঁজতে বীরভূমের নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। শুক্রবার অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার নামে থাকা রাইস মিলে গিয়ে গ্যারাজে একাধিক গাড়ি দেখতে পান সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেই গাড়িই বলে দিচ্ছে, অনুব্রতর সঙ্গে যোগ ছিল শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের। কী সম্পর্ক? কলেজের কর্ণধার জানালেন, ‘বিরাট অবদান’ আছে। শুধু তাই নয়, মেডিক্যাল কলেজ চালু করার সময় সহযোগিতা পাওয়ার জন্য আমলাদের ‘কিছু দিতে হয়’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। TV9 বাংলায় ওই কর্ণধারের স্বীকারোক্তি সামনে আসার পর নড়চড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।

শুক্রবার বীরভূমের কালিকাপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। সেখানে গ্যারাজে ছিল বেশ কয়েকটি বহুমূল্য গাড়ি। একাধিক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত রয়েছে সেই গাড়িগুলি। তারই মধ্যে একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন স্বাধীন ট্রাস্টের নামে। আর সেই স্বাধীন ট্রাস্টই তৈরি করেছে  সেগুল শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ। এটিই বীরভূমের একমাত্র মেডিক্যাল কলেজ।

মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে কী সম্পর্ক অনুব্রতর?

বীরভূমের একমাত্র বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হল এই শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ। ২০০ বিঘা জমির ওপর তৈরি হয়েছে এটি। স্বাধীন ট্রাস্টের সদস্য সংখ্যা মাত্র ৩। কী ভাবে তাহলে তাঁরা এত বড় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করলেন?

TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিট বলেন, অনুব্রত বাবু সাহায্য করেছেন, নাহলে মেডিক্যাল কলেজ করতে পারতাম না। কী সাহায্য, তা স্পষ্ট না করলেও মলয় বাবুর দাবি, সাহায্য অনেকেই করেছেন, তবে অনুব্রতর দাপট বেশি। তাই তাঁকে ছাড়া কলেজ হত না।

সরকারি সিয়ান মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে এই মেডিক্যাল কলেজের। মাসে বেড পিছু ১০ হাজার টাকা করে দিতে হয় ওই সরকারি হাসপাতালকে।

গাড়ি চেয়েছিলেন অনুব্রত

মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়নি মলয় বাবুকে। তাঁর দাবি, ফোন করে অনুব্রত কাউকে ‘মলয়ের কাজটা করে দিও’ বললেই কাজ হয়ে যেত। তাই তিনি যখন গাড়ি চেয়েছিলেন, তখন আর কিছু বলতে পারেননি বলেই দাবি মলয় পিটের। তিনি জানান ট্রাস্টের দুটি গাড়ি দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। টাকার কথা বলেননি অনুব্রত, চাইতে পারেননি মলয় বাবুও।

‘কিছু পেতে হলে, কিছু দিতে হবে’

TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে মলয় পিট আরও দাবি করেছেন, স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের মাঝেমধ্যেই যাতায়াতের গাড়ি দিতে হত ট্রাস্টের তরফ থেকেই। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ছাড়পত্র মিলেছে বলেই তা দিতে হত বলে দাবি করেছেন মলয় পিট। তাঁর কথায়, ‘আপনাকে কিছু পেতে হলে, কিছু দিতে হবে, এটাই সিস্টেম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমলাদের মাঝেমধ্যে গাড়ি দিই, বলি কাজটা একটি তাড়াতাড়ি করে দেবেন।’

তদন্ত করবে স্বাস্থ্য ভবন?

TV9 বাংলায় মলয় পিট এমন দাবি করার পর শোরগোল শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে। অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। মলয় পিটের অভিযোগে স্বাস্থ্য ভবনের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ফঠতে পারে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের প্রতিক্রিয়া, তিনি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেবেন।